মোদিকে কেন আবার ক্ষমতায় চান না মানুষ?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩০ পিএম, ২২ মে ২০১৯
ভারতের সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে প্রতিবেশি পাকিস্তান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার লোকসভার ১৭ তম নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে। এই ফল ঘিরে পাকিস্তানিদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেশি এ দুই দেশের মাঝে সাম্প্রতিক উত্তেজনার জেরে নির্বাচনী ফলাফলের দিকে গভীর দৃষ্টি রাখা পাকিস্তানিদের জন্য স্বাভাবিক। কারণ অনেক পাকিস্তানি পরিবারের সঙ্গে ভারতের কিছু মানুষের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযান ঘিরে প্রতিবেশি এ দুই দেশের মাঝে চরম উত্তেজনা শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে দুই দেশের অনেক নাগরিক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ভারতের সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনের পর পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাদের মতামত প্রকাশ করছেন। ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের ক্ষমতায় আবার ফেরা নিয়ে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করছেন তারা।
পাকিস্তানি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে লাহোরের বাসিন্দা শাহী আলম বলেন, নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় আসা উচিত নয়, তিনি পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পরিচালনা করেছেন।
আইজাজ নামের অপর এক পাকিস্তানি বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মোদির ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে আমার সন্দেহ রয়েছে। আমি নিশ্চিত, তিনি একটি ভঙ্গুর ম্যান্ডেট পাবেন; যা পাকিস্তানের জন্য ভালো।
কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি জয়ী হন, তাহলে তার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার একটি ভালো সুযোগ তৈরি হতে পারে।
লন্ডনভিত্তিক পাকিস্তানি ব্যবসায়ী রিয়াজ টেলিফোনে ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, পাকিস্তানে যারা বসবাস করেন; তাদের মতামত এবং যারা বাইরে বসবাস করেন তাদের মতামতের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
আরও পড়ুন > ভারতে রাতভর ইভিএম পাহারায় বিরোধীরা
তিনি বলেন, আমাদের মতামত হলো, আবারো ভারতের ক্ষমতায় নরেন্দ্র মোদির আসা উচিত। তাহলে মোদির সরকার পাকিস্তানের মাটি থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের মাতৃভূমি থেকে সন্ত্রাসবাদকে উপড়ে ফেলার জন্য পাকিস্তানের সরকারের প্রতি চাপ তৈরি করবে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এসআইএস/জেআইএম