মোদি আমার মৃত্যু চান : কেজরিওয়াল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৭ পিএম, ২১ মে ২০১৯

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার দুদিন আগেই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বললেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার মৃত্যু চান। আগেই নিজের সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন কেজরিওয়াল। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের তীর ছুড়লেন তিনি।

গত সপ্তাহে পাঞ্জাবের একটি নিউজ চ্যানেলকে আম আদমি পার্টির এই নেতা বলেন, প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতো তাকেও তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীরা মেরে ফেলতে পারেন। তার এমন মন্তব্যে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয় গোয়েল সোমবার এক টুইট বার্তায় এই বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে আপনি দিল্লি পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন।

আপনি যদি নিজেই আপনার নিরাপত্তারক্ষী নির্বাচন করে নেন তাহলে সব দিক থেকেই ভাল হয়। কোনও রকম সমস্যা হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। এই টুইটের জবাব দিতে গিয়ে কেজরিওয়াল লেখেন, বিষয়টি আমার নিরাপত্তারক্ষী সংক্রান্ত নয়। আসলে প্রধানমন্ত্রী মোদিই আমার মৃত্যু চান।

নিজের নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে এমন অভিযোগ করায় কেজরিওয়ালের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র প্রবীণ শঙ্কর কাপুর দিল্লি পুলিশকে এ বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। এতে তিনি দাবি কেজরিওয়ালের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাকে ক্ষমা চাইতে বলার দাবিও তোলা হয়েছে।

গত কয়েক বছরে বারবার বিভিন্নভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কখনও দিল্লির সচিবালয়ে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কখনও আবার নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে থাপ্পড় খেয়েছেন।

বার বার এ ধরনের আক্রমণ হওয়ায় তার আশঙ্কা তাকে মেরে ফেলার ছক কষা হয়েছে। একাধিকবার সংবাদ মাধ্যমে তাকে বলতে শোনা গেছে যে, তার বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা হানা দিচ্ছে। মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তার আত্মীয়দেরও বিপাকে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।

টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।