নিরপেক্ষতা নিয়ে ইসিকে মমতার কড়া চিঠি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০১ পিএম, ১৮ মে ২০১৯
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট গ্রহণের একদিন আগে নির্বাচন কমিশনের সততা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছেন তিনি।
মমতার দাবি, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সময়ে পক্ষপাতিত্বমূলক নানা বেআইনি ও অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে কড়া ভাষায় চিঠি লিখে এই অভিযোগ এনেছেন তিনি।
সরাসরি ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র নাম উল্লেখ না করলেও মমতার দাবি, কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাবেই ওই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শেষ দফায় কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাবমুক্ত থেকে যাতে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ ভোট হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
শেষ দফা নির্বাচনের আনুমানিক ১২ ঘণ্টা আগে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার তথা কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাবের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় একাধিক বেআইনি, অসাংবিধানিক এবং পক্ষপাতিত্বে ভরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর ফলে রাজ্য সরকার এবং তার আধিকারিকদের তো বটেই, সাধারণ মানুষকেও নানা ভাবে হেনস্থা ও হামলার মুখে পড়তে হয়েছে।’
শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েই ক্ষান্ত হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে গত মঙ্গলবার বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গও টেনেছেন তিনি। সেই সঙ্গে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের র্যালির প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।
নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত কলকাতার পুলিশ কমিশনার সেদিন কেনো কলেজ স্ট্রিটে ১৪৪ ধারা তুলে দিয়েছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার কথায়, ‘রাজ্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যময় ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই রাজ্যের মানুষ তথা সরকারের মানহানির জন্যই সে দিন ইচ্ছাকৃত ভাবে রোড শোয়ের নামে এক অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।’
মমতা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন দু’জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিককে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে, যা আইনানুগ নয়।’তার দাবি, ‘এই বিশেষ পর্যবেক্ষকেরা সব সময়েই পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেছেন। বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার তথা কেন্দ্রের শাসক দলের নির্দেশই মেনে চলেছেন।’
এসব অভিযোগ কমিশনের নজরে আনা হলেও তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে দাবি করেছেন মমতা। গণতন্ত্রিক প্রতিষ্ঠান তথা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষায় কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এসএ/এমএস