অর্ণব-সাদমনের বুয়েটে পড়ার স্বপ্ন কী পূরণ হবে?
রাজধানীর নটরডেম কলেজের ইংরেজি ভার্সন থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল অর্ণব সাহা (১১৫৯১১১) ও সাদমান সাকিব (১১৫৯০৩১)। দুই বন্ধুর স্বপ্ন ছিল বুয়েটে ভর্তি হবে। সে জন্য এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকেই তারা ফলের আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় করছিলো।
কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা যায় পদার্থবিদ্যায় তারা নম্বর খুব কম পেয়েছে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, পদার্থ পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি প্রশ্নপত্রে নৈর্ব্যক্তিক ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে কিছু ভুল ও ভাষাগত পার্থক্যের কারণে ২২ নম্বরের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন নি তারা।
পরীক্ষা চলাকালে বিষয়টি সম্পর্কে হলে উপস্থিত শিক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমাধান চেয়েও সমাধান পায়নি তারা। তাদের বলা হয়েছিল প্রশ্নপত্রে যা দেয়া রয়েছে সেভাবে লিখলেই নম্বর পাবে। এছাড়াও তারা উত্তরপত্র পাঠানোর সময় ফুটনোট দেবেন বলে জানান। অর্ণব ও সাদমানের আশঙ্কা পরীক্ষার খাতা দেখার সময় ওই ভুল ও ভাষাগত ক্রুটির বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
তারা জানায়, তাদের সহপাঠীদের অনেকেই প্রশ্নপত্রে ভুল ও ভাষাগত সমস্যার কারণে কম নম্বর পেয়েছে। পদার্থবিদ্যা ছাড়াও রসায়ন ও জীব বিজ্ঞানেও একই সমস্যা থাকায় শিক্ষার্থীরা কম নম্বর পেয়েছে।
ইতোমধ্যেই অনেকেই খাতা পুনঃপরীক্ষা করার জন্য শিক্ষাবোর্ডে আবেদন জানিয়েছেন। আগামী মঙ্গলবার সে আবেদনের ফল প্রকাশিত হওয়ার কথা।
শুক্রবার এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, দয়া করে আমাদের খাতাগুলো যারা দেখবেন তারা যেন বাংলা ও ইংরেজি প্রশ্নের ভুল ও ভাষাগত সমস্যার বিষয়টি বিবেচনায় নেন। তারা বলেন, ২২ নম্বরের কারণে তাদের স্বপ্ন আজ ভঙ্গ হতে চলেছে।
জানা গেছে, বাংলা ভার্সনে পদার্থবিদ্যার ১ম পত্রের ‘ক’ সেট প্রশ্নপত্রের ৩ ও ৪ নম্বর ও ইংরেজি ভার্সনের ‘ক’ সেটের ৩ ও ৪ সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে ভাষাগত বিভ্রান্তির কারণে ২০ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেনি ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া পদার্থ বিদ্যার ২য় পত্রের ‘গ’সেট বাংলা প্রশ্নপত্রে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রের ৩৩ ও ৩৪ নম্বর প্রশ্নের একটি অংশে ১০ টু দি পাওয়ার ৫ দেয়া থাকলেও ইংরেজি ভার্সনে ‘ক’সেটের ৭ ও ৮ নম্বর প্রশ্নপত্রে ১০ টু দি পাওয়ার ১৫ দেয়া ছিল।
সংখ্যাগত ভুলের কারণে ২ নম্বরের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেনি ইংরেজী ভার্সনের শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে নটরডেম কলেজের পদার্থ বিদ্যার শিক্ষক তিতাস রোজারিওর সঙ্গে শনিবার যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইংরেজী ভার্সনের প্রশ্নপত্রে এ ধরনের ভুল হয়েছে বলে শুনেছি।
এ ধরনের ভুলের কারণে শিক্ষার্থীরা কম নম্বর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষার খাতা পুনঃপরীক্ষার সময় শুধুমাত্র নম্বরের যোগফলে ভুল হয়েছে কিনা দেখা হয়। বাংলা ও ইংরেজী ভার্সনে প্রশ্নপত্রে অমিল থাকার কারণে খাতা পুনরায় দেখা হয় কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এ ধরনের ভুল হয়ে থাকলে অবশ্যই পুনঃবিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এমইউ/এসকেডি/এএইচ/আরআইপি