৩ বছরের শিশু ধর্ষণ, ফাঁসির দাবিতে উত্তাল কাশ্মীর
তিন বছরের এক শিশুর ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর। শিশুটির বাবা বলেছেন, ধর্ষক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেছি। অভিযুক্ত ওই ধর্ষক তাদের প্রতিবেশি। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
সোমবার কাশ্মীরের হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে ওই ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভরত জনতাকে লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলে কয়েক ডজন আহত হন। রোববারও কাশ্মীরিরা বিক্ষোভ করেন।
শিশুটির বাবা শাইর আলী দার বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার এবং কঠিন সাজা চাই।’ রাজ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভারতীয় পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয়রা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় সোমবার পুরো কাশ্মীর উপত্যকা অচল হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যে কাশ্মীরজুড়ে দোকান-পাট, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ও স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, ‘গত সপ্তাহে শিশুটিকে ফুঁসলিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত ধর্ষক এবং সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে।’
দার বলেন, ‘সে তার মায়ের জন্য কান্নাকাটি করছিল। পরে তার কান্নাকাটি শুনে আমরা স্কলে যাই। সেখানে একটি বাথরুমে তাকে পাই। ওই সময় তার রক্তপাত হচ্ছিল।’
ছোট এই শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কাশ্মীরিরা। রাজ্য সরকারের অপরাধ বিভাগের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে কাশ্মীরে ছয় বছরের নিচের দুটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই বছর রাজ্যে মোট ২১ শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গত বছর কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। গণবিক্ষোভে দাবির মুখে রাজ্য সরকার ১২ বছরের নিচের শিশুর ধর্ষককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান চালু করে।
সূত্র : বিবিসি।
এসআইএস/এমকেএইচ