‘স্বাধীন ভারতের প্রথম চরমপন্থী ছিলেন একজন হিন্দু’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, ১৩ মে ২০১৯

স্বাধীন ভারতের প্রথম চরমপন্থী একজন হিন্দু ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির খ্যাতিমান অভিনেতা থেকে রাজনৈতিক বনে যাওয়া কমল হাসান। তার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে।

রোববার সেই দলের এক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে তামিলনাড়ুর এই রাজনীতিক বলেন, স্বাধীন ভারতের প্রথম চরমপন্থী ছিলেন একজন হিন্দু। ১৯৪৮ সালে মহাত্মা গান্ধীকে হত্যাকারী নাথুরাম গডসের কথা উল্লে করে কমল হাসান বলেন, এটা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা বলে আমি এটা বলছি না। আমি এটা বলছি গান্ধীর মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে।

তামিলনাড়ুর কারুর জেলার আরাভাকুরিচিতে রোববার রাতে এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘স্বাধীন ভারতের প্রথম চরমপন্থী ছিলেন একজন হিন্দু। তার নাম নাথুরাম গডসে। সেখান থেকেই এর শুরু।’

আরও পড়ুন : ‘আমিই আসল মোদি, মোদিই দেখতে আমার মতো’

আগামী ১৯ মে তামিলনাড়ুর বিধানসভার চারটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে; আরাভাকুরিচি তার মধ্যে একটি। এই আসন থেকে কমল হাসানের রাজনৈতিক দল মক্কাল নিধি মাইয়ামের (এমএনএম) একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ছাদবিহীন একটি গাড়িতে দাঁড়িয়ে ৬৪ বছর বয়সী এই অভিনেতা কাম রাজনীতিক বলেন, তিনি সেখানে এসেছেন মহাত্মা গান্ধীর গুপ্তহত্যার প্রশ্নের জবাব জানতে। তিনি বলেন, ভালো ভারতীয়রা সমতা এবং জাতীয় পতাকার তিনটি রঙ অক্ষত রাখতে চায়। আমি একজন ভালো ভারতীয়, গর্ব ভরেই এটির প্রচার করবো।

আরও পড়ুন : মোদি ও মন্ত্রীদের সফর করেই খরচ ৩৯৩ কোটি টাকা

মক্কাল নিধি মাইয়ামের এই প্রধানের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

তামিলনাড়ুর বিজেপির প্রধান তামিল সুন্দরা রাজন টুইটে বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় হিন্দু চরমপন্থার ব্যাপারে কমল হাসান যে কথা বলেছেন, আমরা তার নিন্দা জানাই। তিনি এমন একটি জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন, যেখানে প্রচুর সংখ্যালঘু রয়েছে। তার এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে অবশ্যই নির্বাচন কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

সূত্র : এনডিটিভি।

এসআইএস/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।