আমার ভালোবাসার কাছে আপনার ঘৃণা পরাজিত হবে : মোদিকে রাহুল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ১২ মে ২০১৯

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ৬ষ্ঠ দফার ভোটে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে হেঁটেই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে যান রাহুল। তার সঙ্গে অন্য সময় যে নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি থাকে আজ তা ছিল না।

ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বললেন, এবারের নির্বাচনে উপভোগ্য লড়াই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘৃণা প্রচার করেছেন। আর আমি ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করেছি। আমার মনে হয় শেষমেশ ভালোবাসার জয় হবে। জনগণ আমাদের মালিক। মানুষ যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তা মেনে নেব।

রাহুল দিল্লির তুঘলক লেনের বাড়িতে থাকেন। আর ভোটকেন্দ্র ছিল ঔরঙ্গজেব লেনে। দূরত্ব খুব বেশি না হওয়ায় হেঁটেই সেখানে যান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন নিউ দিল্লি আসনের কংগ্রেস প্রার্থী অজয় মাকেন।

কিছুদিন আগ পর্যন্ত মাকেনই দিল্লি কংগ্রেসের দায়িত্বে ছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে তাকে সরিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে প্রদেশ সভাপতি পদে নিয়ে আসা হয়। এবার অজয় মাকেনের পাশাপাশি শিলাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সাংবাদিকদের রাহুল বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনের চারটি প্রধান ইস্যু আছে। সেগুলো আমাদের তৈরি নয় সাধারণ মানুষের তৈরি। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় হল বেকারত্ব। তারপরেই বলতে হবে কৃষকদের দুরাবস্থা এবং নোটবন্দি ও জিএসটির কথা। রাফায়েল যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে সেটাও এই নির্বাচনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।

দিল্লিতে ৭ লোকসভা আসনের লড়াই হচ্ছে আজ। দীর্ঘ আলোচনার পরও কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির মধ্যে কোনও জোট হয়নি। তিনটি দলই আলাদা করে প্রার্থী দিয়েছে। রাহুলের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও ওই একই ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন।

এবার দুটি লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন কংগ্রেস সভাপতি। এর মধ্যে একটি তার ১৫ বছরের ‘কর্মভূমি' উত্তরপ্রদেশের অমেঠী অন্যটি কেরালার ওয়ানড়। দু'জায়গাতেই ভোট হয়ে গেছে। ২০১৪ সালে অমেঠী কেন্দ্রে রাহুলের বিপক্ষে ভোটে লড়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপির দাবি এই কেন্দ্রের নিজের হার নিশ্চিত জেনে অতিরিক্ত আসন থেকে লড়াই করছেন রাহুল।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।