ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত অধিকাংশই বাংলাদেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৪ পিএম, ১১ মে ২০১৯
উদ্ধার হওয়া কয়েকজন

ভূমধ্যসাগরে এক নৌকা ডুবিতে নিহত প্রায় ৬০ জন অভিবাসীর অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছে তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট।

বেঁচে যাওয়া লোকজন তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী একটি বড় নৌকায় করে ইতালির উদ্দেশে রওয়ানা হন।

গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকাটি থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি নৌকায় তোলা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়।

sea

উদ্ধার হওয়া কয়েকজন

তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিমকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, রাবারের তৈরি ‌‘ইনফ্লেটেবেল’ নৌকাটি ১০ মিনিটের মধ্যে ডুবে যায়।

তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে জারযিজ শহরের তীরে নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানান, ঠান্ডা সাগরের পানিতে তারা প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিলেন।

উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের ১৪ জনই বাংলাদেশি।

ত্রিপলিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী বিবিসিকে বলেন, তারা দুর্ঘটনার কথা জানেন এবং তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ চলছে।

তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তারা জারযিজে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। লিড়াই চলার কারণে সড়কপথে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে তাদের আকাশপথে যেতে হবে।

বেঁচে ফেনি অভিবাসীদের ভাষ্যমতে, নৌকাটিতে ৫১ জন বাংলাদেশি ছাড়াও তিনজন মিশরীয় এবং মরক্কো, শাদ এবং আফ্রিকার অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিক ছিল।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে ইউরোপের যাওয়ার জন্য ভূমধ্যাসাগরের ওই সমুদ্রপথে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে নৌকাডুবির ঘটনায় ১৬৪ জন শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এবারের দুর্ঘটনাটিকে বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ শরণার্থী নৌকাডুবির ঘটনা হিসেবে অভিহিত করছে সংস্থাটি।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

জেডএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।