ফেসবুক ভেঙে তিনটি কোম্পানি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ১১ মে ২০১৯

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুক ভেঙে তিনটি পৃথক কোম্পানি করার প্রস্তাব দিয়েছেন এর সহ–প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস হিউজ। মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে হিউজ এই প্রস্তাব করেন। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার এমন আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।

নিউ নিয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ওই নিবন্ধে হিউস লিখেছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিৎ এখনই ফেসবুক ভেঙে দেয়া। তার মতে, জুকারবার্গ বিশ্বে একচ্ছত্র ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন। তার মতো ক্ষমতা কোনো বেসরকারি কোম্পানি তো দূরের কথা কোনো সরকারের কারও নেই।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা দেশটির বিচার বিভাগের কাছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ‘অ্যান্টি–ট্রাস্ট তদন্ত’ চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্লেষকরাও বলছেন, ফেসবুক এখন এত সুবিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে যে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকলেও নানা বিতর্কের সঙ্গী হয়েছে ফেসবুক। গ্রাহকের তথ্য চুরি, ভুয়া তথ্য প্রচার, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার, তথ্য বিনিময় করার চর্চা, ঘৃণিত বক্তব্য ও ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ আছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

Facebook-2

মার্ক জুকারবার্গ ও ক্রিস হিউজ

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় ২০০৪ সালে ক্রিস হিউজসহ কয়েকজন বন্ধুর যৌথ উদ্যোগে মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন। ফেসবুক যে বিশাল পরিসর নিয়ে সর্বব্যাপী ক্ষমতার আকরে পরিণত হয়েছে সেই একক আধিপত্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিউজ।

হিউজ লিখেছেন, ‘মার্ক খুব ভালো আর সদয় মানুষ। কিন্তু আমার ক্ষোভ অন্য জায়গায়। লাভের লোভে পড়ে সে নিরাপত্তা বিষয়টি এবং ক্লিকের লোভে সহনশীলতাকে বিসর্জন দিয়েছে। আমি আরও হতাশ মার্ক তার আশপাশে এমন মানুষদের রেখেছে, যারা তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে না।’

হিউজের এমন প্রস্তাবের পর ফেসবুক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা স্বীকার করছি সফলতার সঙ্গে দায়িত্ববোধের বিষয়টি গ্রহণ করা উচিৎ। তাই বলে যুক্তরাষ্ট্রের এরকম একটি সফল প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দায়িত্বশীলতা চাপানোর প্রস্তাবটি অযৌক্তিক।’

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

আরও পড়ুন