সেহরিতে মানুষকে জাগাতে যুদ্ধবিমান ওড়াবে ইন্দোনেশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১০ পিএম, ০৯ মে ২০১৯

বিশ্বের অন্যতম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার বিমান বাহিনী ঘোষণা দিয়ে বলছে, পবিত্র রমজান মাসের সেহরির সময় মানুষকে জাগিয়ে তোলার যে দেশীয় ঐতিহ্য রয়েছে তাতে যোগ দেবে তারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেশটির বিমান বাহিনীর অ্যাকাউন্ট থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জাভা দ্বীপের বেশ কয়েকটি শহরে যুদ্ধবিমানের অনুশীলন চালিয়ে সেহরির সময় মানুষকে জাগিয়ে তোলা হবে। যেসব এলাকায় যুদ্ধবিমানের মহড়া চালিয়ে মুসলিমদের সেহরির জন্য জাগিয়ে তোলা হবে সেসবের মধ্যে রয়েছে, পূর্ব জাভার সুরাবায়া, সুরাকার্তা, ক্লাতেন ও সেন্ট্রাল জাভার স্রাগেন এবং ইয়োগিকার্তা।

টুইটে বলা হয়েছে, সৃষ্টিকর্তা সহায় হলে আমরা যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে মানুষকে সেহরির জন্য জাগিয়ে তোলার ঐতিহ্যে অংশগ্রহণ করবো।

অন্যদিকে, দেশটির বিমানবাহিনীর মুখপাত্র কর্ণেল সুস এম ইউরিস বলেন, শুধুমাত্র ঐতিহ্য রক্ষার জন্যই যে এই মিশন পরিচালনা করা হবে বিষয়টি তেমন নয়। তবে যাতে রোজা রেখে বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ নিতে না হয়, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধবিমানের পাইলটদের ওড়ার জন্য ভোর বেলা হচ্ছে সঠিক সময়। যারা সকাল ১০টার পর প্রশিক্ষণ না নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। যারা রোজা রাখেন তাদের রক্তের সুগার এই সময়ের পর দ্রুত কমে যেতে থাকে।

কমপাস ডটকমের বরাত দিয়ে কর্ণেল সুস এম ইউরিস বলেন, রক্তে সুগারের মাত্রা কম থাকলে পাইলটদের বিমান না চালানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের সময় সেহরির জন্য মানুষকে জাগিয়ে তোলার এই অনুশীলন কম্বাইন্ড মিশনের অংশ।

সেহরির সময় পাইলট বিমান নিচু এলাকা থেকে আকাশের দিকে উড়ে যাবে। এসময় পাইলটরা অতিরিক্ত বার্নার ব্যবহার করবেন; যার ফলে উচ্চমাত্রার শব্দ তৈরি হবে। বেশ কয়েক বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহিনী ভোরবেলায় এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করেছিল। এতে মূলত দুই ধরনের যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে একটি হলো : এফ-১৬, অন্যটি টি৫০আই।

সূত্র : জাকার্তা পোস্ট।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।