আদালতের কাছে ক্ষমা চাইলেন রাহুল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৭ পিএম, ০৮ মে ২০১৯
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্য করার প্রেক্ষিতে আদালতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল হয়। সেই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন তিনি।
বুধবার আদালতে নতুন হলফনামা জমা দিয়ে রাহুল জানান, সুপ্রিম কোর্টকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্রূপ করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত ভাবে এবং অসাবধানবশত আদালতের রায়ের সঙ্গে ওই স্লোগান জুড়ে ফেলেছেন।
এদিন আদালতে নতুন করে তিনপাতার হলফনামা জমা দেন রাহুল গান্ধীর আইনজীবী। তাতে বলা হয়, ‘মহামান্য আদালতের নির্দেশের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের মধ্যে করা মন্তব্য মিশিয়ে ফেলায় নিঃশর্ত ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী রাহুল গান্ধী।’
তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং অসাবধানবশত এই ভুল হয়েছে। রাহুল গান্ধী শীর্ষ আদালতকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেন। অসম্ভব শ্রদ্ধা করেন। তাই আদালতের ন্যায় প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়, ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন কোনও কাজ করার অভিপ্রায় তার নেই।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ফাঁস হয়ে যাওয়া নথিপত্রের ভিত্তিতে রাফাল মামলা লড়া যাবে বলে সম্প্রতি রায় দেয় শীর্ষ আদালত। তার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন রাহুল গান্ধী।
সুপ্রিম কোর্টও নরেন্দ্র মোদিকে চোর বলেছে বলে মন্তব্য করে বসেন। সেই মন্তব্যের জেরে তাকে আদালতে টেনে নিয়ে যান বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি।
রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে দাবি তোলেন তিনি। যদিও এ দিন হলফনামায় অবিলম্বে মামলাটি বন্ধ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন রাহুল। শুক্রবার তার আবেদনের শুনানি করবে শীর্ষ আদালত।
এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল আদালতে ২২ পাতার হলফনামা জমা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাতে গোটা ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেও, কোথাও ক্ষমা চাননি তিনি। তাতেই বিরক্ত হয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি সঞ্জয়কিষাণ কউল এবং বিচারপতি কেএম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ।
ভুল স্বীকার করে এবং ক্ষমা চেয়ে নতুন করে তাকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়। শুরুতে এর জন্য চার সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি আদালত। তার পর এ দিন কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের হয়ে নতুন হলফনামা জমা দেন তার আইনজীবী।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এসএ/পিআর