বন্ধের পথে স্কুল ও নারী বাস : দায় নিতে নারাজ বিআরটিসি


প্রকাশিত: ০৩:৪৬ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

অনেক হাকডাক দিয়ে রাজধানীতে যাত্রা শুরু করেছিল স্কুল ও নারী বাস সার্ভিস। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভালো সাড়াও মিলছিল। কিন্তু চালু হওয়ার মাত্র চার বছরের মাথায় মুখ থুবড়ে পড়েছে এই সার্ভিস দুইটি।  এই সম্ভাবনাময় ও জনগণবান্ধব সার্ভিসগুলো বন্ধ হওয়ার দায় নিচ্ছে না পরিচালনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)।  

বিআরটিসি বলছে, যাত্রী সংকটের কারণে সার্ভিসগুলো লাভজনক হয়নি। ভালো উদ্যোগগুলো স্থায়ী করা যায়নি, উল্টো ঘাড়ে চেপেছে বাস কিনতে নেওয়া ঋণের বোঝা।

বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, যানজট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি চালু হয় স্কুল বাস সার্ভিস। ২৬টি স্কুলকে সার্ভিসের আওতায় আনা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিদিন সকালে মিরপুর-১০ থেকে আজিমপুর সাতটি ও বিপরীত দিক থেকে আরও সাতটি বাস চালু করা হয়। কথা ছিল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ টিকিট চালু ও সার্ভিসের পরিধি বৃদ্ধি করা হবে; কিন্তু চার বছরের ব্যবধানে ১৪ বাসের ১২টিই বন্ধ হয়ে গেছে।

এ অবস্থার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দায়ী করেছেন বিআরটিসির কর্মকর্তারা। তারা বলছেন শুরু থেকেই লোকসানি ছিল স্কুল সার্ভিস। প্রতিটি গাড়ির দৈনিক লোকসান প্রায় দুই হাজার টাকা। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এদিকে, স্কুল সার্ভিসের মতোই ধুঁকছে নারী বাস সার্ভিস। ২০০৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ১৪টি রুটে ১৭টি বাস নিয়ে চালু হয় সার্ভিসটি। তবে গত শনি ও রোববার সরেজমিন দেখা যায়, সাতটি রুটে পাঁচটি বাস অনিয়মিতভাবে চলছে। মতিঝিল ডিপোর ট্রাফিক পরিদর্শক মহসিন হাসান জানান, এ ডিপো থেকে তিনটি বাস দুই রুটে চলে। কল্যাণপুর ডিপো থেকে চারটি থেকে দুটি বাস চলছে।

এ বিষয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, `যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কিছু বাস বন্ধ রাখতে হয়।` নারী বাস সার্ভিসেও যাত্রী সংকট। নারী যাত্রীদের সঙ্গে বেশিরভাগ সময়ই পুরুষ সঙ্গী থাকেন। তাই তারা ইচ্ছে করলেও নারী বাস সার্ভিসে উঠতে পারেন না।

এদিকে অধিকাংশ যাত্রীই এই সার্ভিসকে নারীদের জন্য অনুপযোগী বলে অভিযোগ করেছেন। তবে অনেকে বলছেন নারীদের জন্য এই বিশেষ সার্ভিস সম্পর্কে অবগত না থাকাও এর একটি কারণ হতে পারে।

এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।