একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া
ছোট পরিসরে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যৌথ প্রধানদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলের হোদো উপদ্বীপ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়।
গত মাসে পিয়ংইয়ংয়ের এক বিবৃতিতে এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ব্যবহার হওয়া অস্ত্রকে নতুন কৌশলগত নির্দেশিত অস্ত্র হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।
ভিয়েতনামে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর এই প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া।
দেশটির পূর্ব উপকূলের হোদো উপদ্বীপের ওনসান শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে একাধিক ছোট পরিসরের মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যৌথ প্রধানরা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন।
তারা জানায়, মিসাইলটি ৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এর আগেও বড় পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণের জন্য হোদো উপদ্বীপকে ব্যবহার করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএর ভাষ্য অনুযায়ী, গত মাসে অনুষ্ঠিত এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ কিম জং উন নিজে তদারকি করেছেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিবিধ পদ্ধতিতে মিসাইল ছোড়ার বিষয়টি যাচাই করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এই অস্ত্রটি ভূ-পৃষ্ঠ, সাগর এবং আকাশ তিন মাধ্যম থেকেই উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। এই অস্ত্রটি মিসাইল ছিল কিনা তা নিয়ে এখনো সন্দেহ রয়েছে। তবে অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন যে এটি একটি ছোট পরিসরের অস্ত্র ছিল।
গত বছর কিম বলেছিলেন, তারা পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে না এবং আন্ত:মহাদেশীয় ব্যলিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ বন্ধ করবে। তবে এই প্রতিশ্রুতি সত্তেও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম চলছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
গত মাসেও স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে উত্তর কোরিয়ার প্রধান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জায়গায় কাজ চলার আভাস পাওয়া গেছে। উত্তর কোরিয়া দাবি করে, তারা এত ক্ষুদ্র নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করেছে যা দীর্ঘ পরিসরের মিসাইল বা ব্যালিস্টিক মিসাইলে করে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম।
টিটিএন/আরআইপি