ফণীর কবল থেকে বাঁচতে কলকাতায় ব্যাপক নিরাপত্তা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০০ এএম, ০৪ মে ২০১৯
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী এখন কলকাতার খুব কাছেই অবস্থান করছে। ভোর নাগাদ আঘাত হানতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পর শনিবার সকাল ১১ থেকে ১২টার দিকে সাতক্ষীরা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে ফণী। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব মোকাবিলায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা শহরে অবস্থিত সর্বোচ্চ বহুতল ভবন ‘দ্য ৪২’ খালি করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়কে থাকা যাবতীয় হোর্ডিং খুলে নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একাধিক অফিসেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনদিন বন্ধ থাকবে ইকো পার্কের সব রাইড, বন্ধ থাকবে চিড়িয়াখানা। এক্সিস, কোয়েস্ট-সহ শহরের একাধিক শপিং মল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে বাতিল হয়েছে শো। কলকাতা বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১১ লাখ মানুষকে
পশ্চিমবঙ্গের আঘাত হানার পর এটি বাংলাদেশে অভিমূখে ছুটবে। ইতোমধ্যেই কলকাতায় শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক বৃষ্টি। দিঘা ও মন্দারমণিতে উত্তাল হয়ে ওঠা সমুদ্রের ঢেউ ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু হয়ে আছড়ে পড়ছে উপকূলে। সমুদ্র তীরের বাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।
ভারতের আরেক রাজ্য ওড়িশায় ইতোমধ্যেই ফণী-র তাণ্ডবে আটজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন স্থানে উপড়ে গেছে গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। বেশকিছু স্থান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাতিল করা হয়েছে অনেক ফ্লাইট ও ট্রেন সূচি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ওড়িশা রাজ্যে আঘাত হেনেছে ফণী। ফলে গাছ ও বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষ। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১১ লাখ মানুষকে।
এসএ