অনন্ত হত্যা : রিমান্ড শেষে কারাগারে নোমান
বিজ্ঞান লেখক, ব্লগার ও ব্যাংকার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত মোহাইমিন নোমান ওরফে এএএম নোমানকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম-৩ আদালতের বিচারক আনোয়ারুল হক এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির (অর্গানাইজড ক্রাইম) পরিদর্শক আরমান আলী নোমানকে আদালতে হাজির করে দেয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, গ্রেফতারকৃত মোহাইমিন নোমানকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে সিআইডি। ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি। প্রয়োজনে আবারো তাকে রিমান্ডে নেয়া হবে।
এর আগে বুধবার একই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নোমানের বড় ভাই মান্নান রাহি। এরপর শহরতলির টুকেরবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় আবুল খায়ের রাশেদ নামে আরেক জঙ্গিকে। গ্রেফতারকৃত আবুল খায়ের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া পাঁচ জনের মধ্যে মান্নান রাহি, সর্বশেষ গ্রেফতার হওয়া আবুল খায়ের রাশেদ ছাড়াও আরো তিনজনকে খোঁজছে সিআইডি। গ্রেফতারকৃত আবুল খায়ের রাশেদ সাত দিনের রিমান্ডে সিআইডি হেফাজতে রয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সিলেটের কানাইঘাটের পূর্বপালজুড় গ্রামের হাফেজ মইনুদ্দিনের ছেলে মান্নান রাহি ও মোহাইমিন নুমানকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। পরে এই দুই সহোদরকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষ হওয়ার একদিন আগে মান্নান গত বুধবার স্বীকারোক্তি দেয়ায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
গত ১২ মে নগরীর সুবিদবাজারে নিজ বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই অনন্ত`র বড় ভাই রত্মেশ্বর দাশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।
অনন্ত পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা এবং সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ও মুক্তমনা ব্লগের ব্লগার।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর