দিদির মাটির রসগোল্লার অপেক্ষায় মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৭ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

মোদিকে বাংলার মাটির রসগোল্লা খাওয়ানোর কথা বলেছিলেন মমতা। আরও বলেছিলেন, সেই রসগোল্লায় কাঁকড় মিশিয়ে দেওয়া হবে, যা খেলে দাঁত ভাঙবে। কিন্তু মমতার সেই কাঁকড় মেশানো মাটির রসগোল্লার আতিথেয়তাই এবার সাদরে গ্রহণ করলেন মোদি। সোমবার শ্রীরামপুরের সভা থেকে মোদি বলেন, বাংলার মাটি পূণ্যভূমি। সেই মাটির রসগোল্লা আমার কাছে প্রসাদ। সবার কপালে এমন পবিত্র প্রসাদ জোটে না। এ আমার সৌভাগ্য।

শ্রীরামপুরের সভায় মোদি বলেন, কী সৌভাগ্য আমার! দিদি বলছেন, বাংলার মাটি দিয়ে বানানো রসগোল্লা খাওয়াবেন। বাংলার মাটির রসগোল্লা মানে জানেন? বাংলার মাটিতে জন্মেছেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শ্রীচৈতন্যদেব, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা। বাংলার মাটি পূণ্যভূমি। সেই মাটি দিয়ে বানানো রসগোল্লা মোদি পেলে, তা মোদির জন্য প্রসাদ। আমার কাছে মাটি পবিত্র। মাটি আমার কাছে প্রেরণা। বাংলার মাটির রসগোল্লার জন্য আমি অপেক্ষা করব দিদি। সবার কপালে তো এমন পবিত্র প্রসাদ জোটে না।

রসগোল্লা প্রসঙ্গে মোদি আরও বলেন, দিদি বলেছেন মাটির রসগোল্লার সঙ্গে পাথর দেবেন। আমি বলছি, যত পাথর আছে পাঠিয়ে দিন। বাংলার মানুষকে আপনার গুন্ডারা যে পাথর দিয়ে আঘাত করছে, তা আমায় পাঠিয়ে দিলে এখানকার মানুষ আপনার অত্যাচার থেকে কিছুটা অন্তত বাঁচতে পারবেন। তাদের মাথা সুরক্ষিত থাকবে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী জনসভায় মোদিকে মাটির রসগোল্লা খাওয়ানোর কথা বলেছেন মমতা। বিশেষত, জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদির মন্তব্যের পর মমতাও আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন। উল্লেখ্য, ওই সাক্ষাৎকারে মোদি বলেন, মমতা তাকে বছরে কয়েকবার পাঞ্জাবি ও মিষ্টি উপহার দিয়ে থাকেন। এরপর মমতা সে কথা স্বীকারও করে নেন।

তবে, নেহাত ব্যক্তিগত সৌজন্য নিয়ে রাজনীতি করার ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এরপরই একাধিক সভায় মমতা বলেন, মাটির রসগোল্লা দেব মোদিকে। তাতে কাঁকড় মিশিয়ে দেব। খাবে আর দাঁত ভাঙবে। স্বরূপনগরের সভায় মমতা বলেন, মাটির নাড়ু করে রাখব, কিসমিস-কাজু না, কাঁকড় দিয়ে রাখব। খাবে আর দাঁত ভাঙবে।

টিটিএন/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।