আনিসুল হকের ১০ মিনিটের হাকডাক মেশিন কোথায়?
রাজধানীবাসীর ভোগান্তিতে গত তিন দিন যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে। মঙ্গলবার দুর্ভোগের মাত্রা ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। পুরো রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল। ব্যস্ত মানুষের অফিসে যাওয়া আর কাজ শেষে বাসায় ফেরার এই ভোগান্তি অবর্ণনীয় রূপ নেয়।
এমন পরিস্থিতিতে নগরের সাধারণ মানুষের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ঢাকার নতুন দুই মেয়র। যারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন এক ঝুড়ি। তারা বলছেন, কোথায় সেই হাকডাক নতুন মেয়রদের।
কেউ বলেছেন, ১০ মিনিটে জলাবদ্ধতা দূর করার ম্যাজিক দেখাবেন। এমন প্রশ্ন উঠেছে মূলত রাজনীতিতে তুলনামূলক অনভিজ্ঞ ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের সেই আলোচিত জলাবদ্ধতা নিরসনে অত্যাধুনিক যন্ত্র জেট অ্যান্ড সাকার মেশিন থেকে।
জানা গেছে, উন্নত বিশ্বে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রটি ড্রেন থেকে যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা টেনে নিয়ে পানি আলাদা করে আবার ড্রেনে ছেড়ে দেবে। এ যন্ত্র মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করে স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারবে। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জার্মানি থেকে মেশিনটি আমদানি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
সম্প্রতি রাজধানীর বারিধারার নতুনবাজার এলাকায় যন্ত্রটির পরীক্ষামূলক ব্যবহারও করা হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা বলেন, প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে জার্মানির তৈরি এই জেট অ্যান্ড সাকার মেশিনটি কিনেছে ডিএনসিসি। এটি কাজ করছে। বুধবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ব্যবহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বনানীতে ব্যবহার করা হবে।
তবে একটি মেশিন পর্যাপ্ত কি-না এমন প্রশ্নে বিপন কুমার সাফ জানিয়ে দেন, ব্যয়বহুল মেশিন। চাইলেই তো আর একাধিক কেনা সম্ভব নয়। তাছাড়া জলাবদ্ধতা বা বৃষ্টিতো আর বছরজুড়ে চলবে না। কিন্তু মেশিন সারাবছর চলবে।
সিটি কর্পোরেশনের ভাষ্য, যন্ত্রটি প্রতিদিন ২২ ঘণ্টা করে কাজ করতে পারবে। প্রতি ১০ মিনিটের মধ্যে ১২০ মিটার দীর্ঘ ড্রেন সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা যাবে। মেশিনটি পরিচালনা করতে লাগবে তিনজন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নত বিশ্বে ড্রেন পরিষ্কার ও জলজট নিরসনের জন্য এ যন্ত্র ব্যবহার হয়। বাংলাদেশে এই প্রথম যন্ত্রটির ব্যবহার শুরু করেছে ডিএনসিসি। ডিএনসিসিকে এটা সরবরাহ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোহেল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ও মেসার্স সোহেল এন্টারপ্রাইজ।
এসএ/এসআইএস/এএইচ/বিএ/আরআইপি