স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আদালতে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে স্ত্রী প্রিয়াংকা চন্দ্র রায়কে (২২) হত্যার দায়ে স্বামী শংকর চন্দ্র করকে (৩৫) আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত প্রিয়াংকার বড় ভাই সজল চন্দ্র রায় বাদি হয়ে শংকরকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পারিবারিবভাবে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের অনিল চন্দ্র রায়ের মেয়ে প্রিয়াংকা চন্দ্র রায়ের বিয়ে হয় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন গ্রামের মৃত সুনীল চন্দ্র করের ছেলে কৃষক শংকর চন্দ্র করের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলছিল। কারণে অকারণে স্ত্রীকে মারধর করতো স্বামী শংকর।
এদিকে, গত সোমবার প্রিয়াংকাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসে শংকর। রাত ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে তা থেমেও হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে প্রিয়াংকার মা ডাকতে গিয়ে বিছানায় তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় স্বামী শংকর তার পাশেই ছিলো।
মায়ের আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে প্রিয়াংকাকে জরুরি ভিত্তিতে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের লোকজন ঘাতক স্বামীকে আটক করে এবং থানায় খবর দেয়। কালীগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন ঘটনাস্থল গেলে শংকরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে নিহত প্রিয়াংকার বড় ভাই সজল চন্দ্র রায় বাদি হয়ে শংকরকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আর ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শংকরকে বুধবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে জানান, প্রিয়াংকার সুরতহাল প্রতিবেদনে গলায় এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের ধারণা সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় প্রিয়াংকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শংকরের নামে থানায় মামলা রেকর্ড করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আব্দুর রহমান আরমান/এসএস