‘মোদির জয় ঠেকাতে কোটি কোটি টাকা ঢালছেন মুসলিমরা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

ভারতের চলমান লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয় ঠেকাতে বিশ্বের বেশ কিছু মুসলিম ও খ্রিষ্টান দেশ কোটি কোটি টাকা ঢালছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির বহুল আলোচিত যোগগুরু রামদেব। তার দাবি, মোদিকে সরাতে দেশের ভেতরের এবং বাইরের দেশদ্রোহী শক্তি আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।

ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, যোগগুরু রামদেব মোদির একজন স্বঘোষিত সমর্থক। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য প্রকাশ্যে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তবে এক বছর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন, এবারের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে কোনো দলকেই সমর্থন করবেন না তিনি।

ramdeb

কিন্তু এই যোগগুরুর সমালোচকরা বলছেন, মোদির শাসনামলে রামদেবের ব্যবসা যেভাবে ফুলে ফেঁপে উঠছে তাতে তিনি ২০১৯ সালে বিজেপিকে সমর্থন করবেন তাতে কোনো সংশয় ছিল না।

প্রত্যাশা অনুযায়ী, এবারও বিজেপি তথা মোদির সমর্থনে সুর চড়িয়েছেন যোগগুরু। একাধিক জনসভায় মোদির হয়ে ভোট প্রার্থনা করতেও দেখা গেছে তাকে।

বুধবার রাজস্থানের যোধপুরে এক সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানে স্থানীয় বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারণা চালাতে গিয়ে রামদেব বলেন, ভারতের এবারের নির্বাচনের ওপর নজর রয়েছে পুরো বিশ্বের। ভারত এবং ভারতের বাইরের বহু দেশদ্রোহী শক্তি এই ভোটে কড়া নজর রাখছে।

ramdev-modi

মোদিকে আটকাতে বাইরে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঢালছে মুসলিম এবং খ্রিষ্টান দেশগুলো।

রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসাও শোনা যায় রামদেবের মুখে। তার প্রশ্ন, আমাকে বলতে পারেন মোদি কোন কাজটা ভুল করেছে? মোদির সব ইচ্ছা, চেষ্টা সব এই দেশের মঙ্গল কামনায়। যার নিজের পরিবার নেই, যে দেশের সেবাকেই নিজের পাথেয় করেছেন, যে নেতা জাতীয়তাবাদকে নিজের ধর্ম মনে করেন।

ভোটারদের উদ্দেশে যোগগুরুর আবেদন, মোদিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। মোদির হাতেই দেশ সুরক্ষিত, মেয়েরা সুরক্ষিত, মোদির হাতে কৃষকরাও সুরক্ষিত। তবে দেশটির বিরোধীরা পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে, ভোট চাওয়ার নামে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করছেন রামদেব।

এসআইএস/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।