শর্তসাপেক্ষে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী কিম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর দুদেশের মধ্যে পূর্বের উত্তেজনা ফিরিয়ে আনার আশঙ্কা তৈরি করছে ওয়াশিংটন। মার্কিন সরকার তার আচরণে পরিবর্তন আনলেই কেবল দু’দেশের মধ্যে আরেক দফা শীর্ষ বৈঠক হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে কিম জং উনের সঙ্গে তৃতীয় বৈঠকে মিলিত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করার পর শনিবার উত্তর কোরিয়ার নেতা ওই প্রতিক্রিয়া জানালেন। দেশটির ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির এ নেতা তার ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে একটি ‘ন্যায্য’ ও ‘উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য’ চুক্তি নিয়ে হাজির হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

কিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তার বর্তমান মনোভাব থেকে সরে আমাদের কাছে নতুনভাবে বৈঠকে বসার ব্যাপারে ‘সঠিক মনোভাব’ নিয়ে আসতে হবে। উত্তর কোরিয়ার নেতা আরও বলেন তিনি ওয়াশিংটনকে সিদ্ধান্ত নিতে ‘বছরের শেষ পর্যন্ত’ সময় দিতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র তার এ দাবি মেনে না নিলে কি পদক্ষেপ নেবেন সে সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত করেননি তিনি। তবে সম্প্রতি স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ স্থাপনায় কর্মতৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে কিম-ট্রাম্প দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক ব্যর্থ হয়। সেই বৈঠকে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পূর্বশর্ত হিসেবে দেশটি সব পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করে ফেলার আহ্বান জানান।

কিন্তু উত্তর কোরিয়ার নেতা তাতে সম্মতি না দিয়ে পর্যায়ক্রমিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিনিময়ে তার দেশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আহ্বান জানান। ট্রাম্প ওই আহ্বান মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং বৈঠক ব্যর্থ হয়।

গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন চিরশত্রুভাবাপন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার দুই শীর্ষ নেতা। ওই বৈঠকে তারা কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত হন।

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।