ডুয়েটের যুগপূর্তিতে নবীন-প্রবীণদের মিলনমেলা


প্রকাশিত: ১১:৩৫ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নবীন-প্রবীণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মঙ্গলবার দিনভর মুখরিত হয়ে ওঠে গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট)। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আড্ডা, নাচ, গানসহ নানা আয়োজনে গোটা ক্যাম্পাস এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম বর্ষপূর্তিতে ‘ডুয়েট ডে-২০১৫’  উপলক্ষে এসব উৎসবের আয়োজন করা হয়। গোটা ক্যাম্পাসও সেজেছিল বর্ণিল সাজে।

সকালে পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী। এর আগে ভোরে ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।

এরপর মেহের আফরোজ চুমকীর নেতৃত্বে পুরাতন একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা অংশ নেন।   

র‌্যালি শেষে ‘প্রযুক্তির হাতে হাত ধরি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ি, ডুয়েট মোদের স্বপ্নের দিশারী’ স্লোগানকে সামনে রেখে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা অনুষ্ঠান।

ডুয়েটের সহকারী পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) মোছা. কামরুন নাহার জাগো নিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র সাহা, রেজিস্ট্রার ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম আলম, ডুয়েট আন্দোলনের নেতা ও সাবেক ছাত্র পুলক কান্তি বড়ুয়া, অম্রান দত্ত, ডুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাসিরুদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউর রহমান রাতুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কাসেম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাসান মোহাম্মদ মোস্তফা আফরোজ।

অনুষ্ঠানে মেহের আফরোজ চুমকী প্রযুক্তি শিক্ষায় ছেলেদের সাথে সাথে মেয়েদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধ পরিকর। সাইবার ক্রাইমের প্রসঙ্গে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের বিবেকবান হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের জমজমাট আনন্দ আড্ডা ও ক্যাম্পাসের পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।  

উল্লেখ্য, দেশে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উচ্চ শিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান ডুয়েট। বর্তমানে ডুয়েটে তিনটি অনুষদের অধীন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রি প্রদানকারী বিভাগসহ মোট ১১টি বিভাগ আছে। এখানে প্রায় আড়াই হাজারের উপরে শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেশের চারটি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটকে (বিআইটি) একযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যে গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) অন্যতম।

এমইউ/একে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।