কুয়েটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত


প্রকাশিত: ১১:১৯ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বর্ণিল আয়োজন আর বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর দ্বাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অর্থ্যাৎ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ মোহাব্বত খান এবং সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রীতি সমাবেশ। এরপর সকাল ১০টায় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা। পতাকা উত্তোলন শেষে প্রধান অতিথি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন।

এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ মোহাব্বত খান বলেন, কুয়েট বাংলাদেশের অনন্য এবং অন্যতম সেরা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অতুলনীয়।

খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, বর্তমান সরকারের সঠিক দিক নির্দেশনায় কুয়েটের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা আমাদের গর্ব।

সভাপতির বক্তৃতায় কুয়েট উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং এ প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই কুয়েটকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিশ্বাবদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নানকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুয়েটের উপাচার্য আরো বলেন, সকলের সহযোগিতায় কুয়েট শিক্ষা, গবেষণা সকল ক্ষেত্রে দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দেশের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে।

এরপর সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ফুলবাড়ীগেট এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে অডিটরিয়ামের সামনে এসে শেষ হয়।

সকাল সাড়ে ১০ টায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও অডিটরিয়ামের সম্মুখে রক্তদাতা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে অডিটরিয়ামে টেকনিক্যাল পোস্টার সেশন, একই স্থানে টেকনিক্যাল সেমিনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্মিত শর্টফিল্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

পরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ মোহাব্বত খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত পুরকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সৈয়দ আলী মোল্লা, তওইকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো.  নুরুন্নবী মোল্লা এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ছাত্র কল্যাণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. জিজি মো. নেওয়াজ আলী।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) খুলনাকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে ১ সেপ্টেম্বরকে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।

আলমগীর হান্নান/এসএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।