মোদি নাকি রাহুল, কে আসছে ভারতের ক্ষমতায়?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪১ এএম, ১০ এপ্রিল ২০১৯

বিজেপি নাকি কংগ্রেস? নরেন্দ্র মোদি নাকি রাহুল গান্ধী? লড়াইয়ে এগিয়ে কে? আর কাকেই বা দেখা যাবে ভারতের ক্ষমতায়? ২৪ ঘণ্টা পরেই লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু হবে। তার আগে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

সি-ভোটার, টাইমস নাউসহ বেশ কিছু জনমত জরিপ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনের তুলনায় তাদের আসন সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে।

৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়তে দরকার ২৭২টি আসন। একটি দল বা কয়েকটি দলের জোটের পক্ষে ওই সংখ্যায় পৌঁছানো কি সম্ভব? বিশেষত, গত কয়েক মাস ধরে ত্রিশঙ্কু লোকসভায় একটি আশঙ্কা দানা বাঁধছিল। কিন্তু পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা, বালাকোটে বিমানবাহিনীর অভিযান, আর্থিক ভিত্তিতে উচ্চশ্রেণির মানুষের জন্য দশ শতাংশ সংরক্ষণ এবং কৃষকদের আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটের হাওয়া কিছুটা নিজের দিকে ঘোরাতে পেরেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মার্চ এবং এপ্রিলে কয়েকটি জনমত সমীক্ষার পর দেখা গেছে, বিজেপি এককভাবে ২২৮টি আসন পেতে পারে। আর তার শরিকদের আসন ধরলে ২৭২টি আসন পাওয়া অসম্ভব নয়। কয়েকটি সমীক্ষার গড় থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

পাশাপাশি এও বলা হচ্ছে যে, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ২০১৪ সালের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াবে। গতবার ৪৪টি আসনে জিতেছিল তারা। এবার ৮৮টি আসনে জিততে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বিজেপিকে তেমন সমস্যায় ফেলতে পারবে না।

কংগ্রেস এবং তার সহযোগী দলগুলো সবমিলিয়ে ১৪০টি আসন পেতে পারে। এছাড়া কংগ্রেস বা বিজেপির সঙ্গে নেই বেশ কয়েকটি দল। বিজেপি-কংগ্রেসকে সমদূরত্বে রেখে একটি ফেডারেল ফ্রন্ট তৈরি করার কথা বলা হচ্ছে। সেই দলগুলো এবং নির্দলীয়রা মিলে মোট ১২৯টি আসন পেতে পারে। কোনও একক দল বা জোট গরিষ্ঠতা না পেলে ফেডারেল ফ্রন্ট ও নির্দলীয়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

টিটিএন/এমকেএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।