ভারতে যেভাবে সম্পন্ন হবে ৯০ কোটি ভোটারের নির্বাচন
ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কিছুই বদলায়নি। দেশটির প্রতিটি নির্বাচনের সময় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের সিংহ উপদ্রুত বন গিরে যান, শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির ভোট সংগ্রহের জন্য।
মূলত সেখানে পাঁচজন যান, সঙ্গে থাকেন আরও দুই পুলিশ সদস্য। তারা ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থেকে শুরু করে ভোটের যাবতীয় সরঞ্জাম বহন করেন।
দীর্ঘ যাত্রা করার পর, তারা ভারতদাস দর্শনদাস নামে সেই ভোটারের জন্য তার বাড়ির দুই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে নিয়ম অনুযায়ী একটি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করেন। নির্জন একাকী এই ভোটারের বয়স বর্তমানে ষাটের কোঠায়। তিনি মূলত এই বনভূমির ভেতরে একটি মন্দিরের দেখাশোনা করেন।
বিবিসিকে দেয়া ২০০৯ সালের সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, ‘এই মন্দিরে আগে আমরা ৪৫ জন থাকতাম। আমাদের বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রী ছিল। এক পর্যায়ে বন কর্তৃপক্ষ এই স্থানটিতে মানুষের বসবাস অনেক কঠিন করে তোলে। তাই আমার সঙ্গে থাকা অন্য সবাই একে একে চলে যান, একমাত্র আমিই শেষ ভোটার হিসেবে এখানে টিকে আছি।
তিনি জঙ্গলে আরও ভাল রাস্তা দেখবেন বলে আশা করেন যাতে আরও তীর্থযাত্রীরা মন্দিরে আসতে পারেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমার খুব ভাল লাগে যে কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র আমার ভোট নিতে এখানে আসে। আমি সম্মানিত বোধ করি।’ ভারতদাসের গল্পটি ভারতের সাধারণ নির্বাচনের জটিলতার একটি ঝলক দেয়।
হিমালয় থেকে উপকূলে
ভারত চলতি মাসেই আবারও নির্বাচনে যাবে ৯০ কোটি ভোটারকে সঙ্গে নিয়ে। এটাই হবে বিশ্বের দেখা সবচেয়ে বড় নির্বাচন। কিন্তু কিভাবে একটি দেশ এতো বড় নির্বাচন পরিচালনা করে, যেখানে কিনা সমগ্র বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ মানুষের বসবাস?
নির্বাচন কমিশন বলেছে, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার মনোভাব নিয়ে কমিশনকে ২৯ টি রাজ্য এবং সাতটি প্রশাসনিক অঞ্চলে হওয়া নির্বাচন সামাল দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরের বিশাল পাহাড়ি অঞ্চল (হিমালয়), উত্তর এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বিস্তৃত সমভূমি, পশ্চিমে একটি মরুভূমি অঞ্চল, বন জঙ্গলে ঘেরা এবং দক্ষিণে দীর্ঘ সমুদ্র উপকূল।’
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার লেখা ‘অ্যান্ড ইনডকুমেন্টেড ওয়ান্ডার : দ্য মেকিং অফ দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান ইলেকশন’ বইয়ে এভাবেই ব্যাখ্যা করেন।
বিস্তৃত এই অঞ্চল-জুড়ে সবার ভোট নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ ভোট কেন্দ্র। যার বেশ কয়েকটির অবস্থান অনেক দুর্গম স্থানে।
উদাহরণস্বরূপ, উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হিমাচল প্রদেশের একটি ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৪৪০ মিটার উঁচুতে। এটাকে সবচেয়ে বেশি দুর্গম ভোটকেন্দ্র বলে ধরা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে ভোট কর্মকর্তাদের ২০ কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটে যেতে হয়। তাদের পিঠে করে ভোটদানের সরঞ্জামের পাশাপাশি অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্লিপিং ব্যাগ, খাবার এবং টর্চ বহন করতে হয়।
হেলিকপ্টার থেকে উট পর্যন্ত
প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছাতে কতো ধরণের কাঠখড় পোড়াতে হয় তা অনেকের কল্পনার বাইরে। ভোটের পেছনের চিত্র নিজ বইয়ে ব্যাখ্যা করে কুরাইশি বলেন, ‘এটি প্রথমে শুনতে খুব রোমাঞ্চকর মনে হলেও একজন ভোট কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ধরণের পরিবহনে চড়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেটা আদিম থেকে অতি-আধুনিক পরিবহন মানে-হাতি, উট, নৌকা, সাইকেল, হেলিকপ্টার, ট্রেন এমনকি উড়োজাহাজও হতে পারে। এসব পরিবহনের মাধ্যমে ভোট কর্মকর্তাদের ভোটের সব সামগ্রী নিয়ে মরুভূমি, পর্বত, সমভূমি, বন, দ্বীপ এবং উপকূলীয় অঞ্চল পাড়ি দিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে হয়।’
প্রায় এক কোটি কর্মকর্তা এই বছরের নির্বাচন পরিচালনা করবেন। আর এই সংখ্যা সুইডেনের মোট জনসংখ্যার প্রায় সমান। ভোট প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আধা সামরিক বাহিনী, পর্যবেক্ষক, ভিডিওগ্রাফার, সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের একটি বহরও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সব ধরণের পক্ষপাত এড়াতে তাদের সবাইকে একটি র্যান্ডম নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেছে নিয়ে নির্দিষ্ট এলাকায় নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে এক বিষয়ে সাদৃশ্য রয়েছে তা হলো তাদের প্রত্যেককে এমন প্রশিক্ষণ দেয়া হয় যেন তারা দৃঢ় সংকল্পের সাথে প্রতিটি রাজ্যের আলাদা আলাদা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।
জরিপ সহিংসতা থেকে জাল ভোট
যেকোনো জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিহারের উত্তর প্রদেশে ‘বুথ ক্যাপচারিং’ বা ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস রয়েছে। যখন কোন একটি দলের সদস্য জোরপূর্বক ভোটকেন্দ্র দখল করে নিবন্ধিত ভোটারদের নামে জাল ভোট দেয় এবং তা গণনা করে।
এ ধরণের সহিংসতার কারণে ভোটাররা ভোট দিতে আগ্রহ পান না। ফলে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার হার কমে যায়। বিশেষ করে নারী ভোটাররা আগ্রহ হারান। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এমন কারচুপির সুযোগ কম।
নির্বাচন কমিশন ভোট প্রক্রিয়াকে ছয় বা সাতটি পর্যায়ে ভাগ করে পরিচালনা করে। এতে করে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা সহজ হয়। তারপরও মণিপুর রাজ্যে জাল ভোটের ঝুঁকি রয়েছে। পরে ফেইস রিকগনিশন বা চেহারা দেখে পরিচয় শনাক্তের প্রযুক্তির মাধ্যমে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কুরাইশি তার বইয়ে এমন এক ঘটনার কথাও উল্লেখ করে বলেন, ‘এই প্রযুক্তি আনার পর, তারা এমন এক নারী ভোটারকে চিহ্নিত করেন। যিনি বিভিন্ন বেশে এসে ৬০বারেরও বেশি সময় ভোট দিয়ে পড়েন।
এ ধরনের সতর্কতা সত্ত্বেও, ২০১৪ সালের শেষ নির্বাচনে নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কয়েকটি ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে কাশ্মীর, ঝাড়খন্ড ও আসাম।
আসন্ন নির্বাচনে অনুরূপ দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য এখন নিরাপত্তা কর্মীরা সময়ের সাথে নিজেদের এগিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডের, কয়েকটি রুট থেকে ল্যান্ডমাইন অপসারণ করা হয়েছে। এমন মাইন সেখানকার সশস্ত্র বামপন্থী গেরিলা বাহিনী পুঁতে রেখেছিল বলে জানা গেছে।
আসামের ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে যেন বিদ্রোহীদের সহিংসতা বা সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ এড়ানো যায়।
নির্বাচনের তারিখ থেকে প্রতীক
এই বছর ভারতের নির্বাচন ছয় সপ্তাহ ছাড়িয়ে যাবে, যেখানে হাজার হাজার প্রার্থী ৫৪৩টি আসনের জন্য ভোটের লড়াই করবেন।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার টি এস কৃষ্ণমূর্তি বিবিসিকে এ কথা জানান, ‘আমরা এক বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। ভোটার নিবন্ধীকরণ ছাড়া, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
এমনই এক নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সময়, নির্বাচন কমিশন ভারতের প্রবীণতম ভোটারদের মধ্যে একজনকে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছিল, যার নাম শ্যাম শরণ নেগি।
অবসরপ্রাপ্ত ওই স্কুল শিক্ষক ১৯৫১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভারতের প্রতিটি সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। তার বয়স এখন ১০২ বছর। তিনি এবারও হিমাচল প্রদেশ থেকে ভোট দিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের প্রবেশের আগে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বেশ কিছু বিষয়ে নজর রাখতে হয়। সেগুলো হল-
১. সারা ভারতের ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) গ্রহণ ও অদলবদল করা;
২. নির্বাচন তারিখ যথাযথ উপায়ে বাছাই করতে হবে। ভোটের জন্য এমন একটি দিনকে বেছে নিতে হবে যেদিন কোন সম্প্রদায়ের উৎসব, পরীক্ষা, কৃষির মৌসুম বা চরম আবহাওয়া না থাকে;
৩. একটি 'বিশেষ ধরনের' অমোচনীয় কালির বিপুল পরিমাণ সরবরাহ নিশ্চিত করা, যা প্রতিটি ভোটারের আঙ্গুলের উপর প্রয়োগ করা হয়। যাতে কেউ একবারের বেশি ভোট দিতে না পারে;
৪. প্রতিটি দল এবং অসংখ্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য প্রতীক বরাদ্দ করা যাতে ভোটাররা দ্রুত তাদের শনাক্ত করতে পারেন;
প্রতীকের প্রসঙ্গ যেহেতু উঠেছে সেক্ষেত্রে একজনের কথা বলতেই হয়। আর তিনি হলেন, সকল প্রতীকের পেছনের ব্যক্তি এম এস শেঠি।
তিনি ১৯৯০ এর দশকে তার দলবল নিয়ে বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে টেবিল, টেলিফোন, আলমারি এবং টুথব্রাশের মতো দৈনন্দিন বস্তুর কথা উঠে আসে। সেঠি সেগুলোর ছবি আঁকতেন এবং রাজনীতিবিদদের একটি পরিচয় দিতেন।
ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের আগে (যা অক্টোবর ১৯৫১ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল) প্রতীক ব্যবহারের ধারণাটি রপ্ত করা হয়। কেননা তখনকার প্রায় ৮৪ শতাংশ ভোটার পড়তে এবং লিখতে অক্ষম ছিলেন।
এর মধ্যে অনেক প্রতীক এখন আর ব্যবহার হয় না। তবে সেগুলোকে এখনও ফ্রি লিস্টে পাওয়া যায়। এই কাজগুলো (এবং আরও) ভারতের প্রতিটি সাধারণ নির্বাচনের আগে কমিশনের প্রস্তুতির একটি মূল অংশ গঠনে সহায়তা করে।
লজিস্টিকস থেকে নিয়মকানুন
কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন, ‘কিন্তু সহায়ক এই কাজগুলো সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং নয়। এগুলো মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া।’ প্রথম দফার নির্বাচনে নগদ অর্থ এবং অন্যান্য উপহারের বিনিময়ে ভোট কেনার চেষ্টাও ভারতে প্রকট।
এর প্রধান কারণ হল, বর্তমানে রাজনীতি প্রচণ্ড প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৪৬৪টি দল ছিল, অথচ প্রথম নির্বাচনে ছিল ৫৫টি। দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর অস্বচ্ছ অর্থায়ন নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন, ‘কোন ধরণের সহিংসতা বা নিয়ম লঙ্ঘন হলে আমরা দলগুলোকে সতর্ক করি, হুঁশিয়ারি দেই। কিন্তু কোন প্রার্থীকে অযোগ্য বা স্থগিত করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা কিছু চরম ক্ষেত্রেই তাদের প্রতীক প্রত্যাহার করতে পারি।’
সুষ্ঠু ভোট গণনা নিশ্চিত করার জন্য, ভোটকেন্দ্রগুলো প্রকৃত ভোটের আগে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একটি পরীক্ষামূলক ভোট বা মক ভোট পরিচালনা করে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে, এই মেশিনগুলো নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক হয়। বিশেষ করে হেরে যাওয়া দলগুলো, প্রায়ই অভিযোগ করে যে মেশিনগুলো ‘হ্যাক করে কারচুপি’ হতে পারে।
ভারতের নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ সবসময় এই বিষয়টি খেয়াল রাখেন যেন ভোটিং মেশিনগুলোকে বৈদ্যুতিকভাবে ট্যাম্পার করা গোপনে প্রবেশ করা না যায়। তারপরও কেউ যদি ফিজিক্যালি ট্যাম্পারিং করে থাকেন বা বাইরে থেকেই কোন পরিবর্তনের চেষ্টা করেন তাহলে সেটা সহজেই শনাক্ত করা যায়।
এই মুহূর্তে, তারা দেশব্যাপী ভোট প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ের প্রয়োজনীয়তাগুলো মেটাতে কাজ করে যাচ্ছেন। দক্ষিণের তেলেঙ্গানার নির্বাচনী অঞ্চলটি একটি ভিন্ন রকম সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। আর সেটা হল তাদের একটি আসনের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী লড়াই করছে।
পুরানো ইভিএমগুলো ৬৪টি নাম ধারণ করতে পারে, তবে এই বিশেষ নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীই দাঁড়িয়েছেন ১৮৫জন। এমন অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে বিপুল সংখ্যক আপডেটেড মেশিন অর্ডার করা হয়েছে। যেটি বেশি সংখ্যক নাম ধারণ করতে সক্ষম। নির্বাচন কমিশন তাদের এই সক্ষমতা অর্জনের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসী।
ভারতের জ্যেষ্ঠ উপ নির্বাচন কমিশনার উমেশ সিনহা আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘ভোট প্রক্রিয়া মসৃণ হবে। ইভিএম প্রবর্তনের পর থেকে এতো বিপুল সংখ্যক ব্যালট ইউনিট ব্যবহার করার জন্য তেলেঙ্গানা দেশের প্রথম কোন রাজ্য হবে।’ তিনি বিশ্বাস করেন যে এই রাজ্যটি ইতিহাস তৈরির পথে চলছে।
কিন্তু এ ধরণের পদক্ষেপ কি নির্বাচনে ভোটারদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারবে? ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পারবে - এমন প্রশ্নের জন্য বিশ্ববাসীর অপেক্ষা করতে হবে ২৩শে মে পর্যন্ত।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
এসএ/এমএস