শিক্ষার্থীদের বিষাক্ত খাবার খাইয়ে শিক্ষক গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০১৯

চীনের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষককে তার ২৩ জন শিশু শিক্ষার্থীর খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিষাক্ত ওই খাবার খাওয়ার পর শিশুরা অসুস্থ হলে দ্রুত তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শিশুদেরকে সকালে যে খাবার খাওয়ানো হয় তাতেই বিষাক্ত মেশান ওই শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে চীনের হেনান প্রদেশের জিয়াওজুও শহরে।

ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে, শিশুদের ওই সকালের খাবারের উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম নাইট্রেট মেশানো হয়েছিল। পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত শিক্ষক কেন খাবারের সঙ্গে বিষ মেশালেন তা সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো পুলিশের সূত্র উদ্ধৃতি করে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক নাকি তার সহকর্মী শিক্ষকদের একজনের সঙ্গে তৈরি হওয়ার ক্ষোভের বদলা নিতেই এমন ঘৃণ্য কাজটি করেছে।

বেইজিং নিউজের এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বুধবার কিন্ডার গার্টেনে সকালের দেয়া বিষাক্ত ওই খাবার খাওয়ার পর শিশু শিক্ষার্থীরা বমি করা শুরু করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে প্রায় এক সপ্তাহ পর গত সোমবার।

অসুস্থ শিক্ষার্থীদের এক অভিভাবক বলেন, তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে গিয়ে ডাক্তারদের খোঁজা শুরু করেন। প্রাথমিক তিনি অসুস্থ শিক্ষার্থীদের পেটে চাপ দিয়ে বমি করানোর চেষ্টা করেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অসুস্থ শিশুদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরও সাতজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে ১৫ শিশু সুস্থ হয়ে যাওয়া ছাড়া পেয়েছে হাসপাতাল থেকে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কিন্ডারগার্টেনটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া বাকি শিক্ষার্থীদের অন্যান্য কিন্ডারগার্টেন স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সোডিয়াম নাইট্রেট অনেক খাবারে থাকলেও কোনো খাবারে বেশি পরিমাণে দেয়া হলে তা বিষাক্ত হয়ে যায়।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।