এবার গরুর জন্য শৌচাগার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৬ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৯

গরুকে টয়লেট ব্যবহার শেখানো সহজ কাজ নয়, কিন্তু নেদারল্যান্ডসের এক উদ্ভাবক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক অ্যামোনিয়ার নির্গমন ঠেকাতে গো-শৌচাগার তৈরি করেছেন। দেশটির একটি ফার্মে তিনি পরীক্ষামূলক এই ডিভাইসের ব্যবহার শুরু করেছেন; যা গরুর ১৫ থেকে ২০ লিটার মলমূত্র সংগ্রহ করবে। একটি গরু দিনে গড়ে ১৫-২০ লিটার মলমূত্র ত্যাগ করে।

গো-মলমূত্র থেকে নেদারল্যান্ডসে প্রচুর পরিমাণে অ্যামোনিয়া উৎপাদিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যামোনিয়া রফতানিকারক দেশ নেদারল্যান্ডস। গো-শৌচাগারের নির্মাতা ও ডাচ উদ্ভাবক হেঙ্ক হ্যান্সক্যাম্প বলেন, আমরা অঙ্কুরেই এই সমস্যার সমাধান করতে চাই।

তিনি বলেন, একটি গরুকে কখনই সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার রাখা যায় না। তবে তাদের টয়লেটে যাওয়ার শিক্ষা দেয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, খাবার গ্রহণের সময় গরুর পেছনে শৌচাগারটি রাখতে হবে। খাওয়া শেষ হলে একটি রোবটনিয়ন্ত্রিত যান্ত্রিক হাত গরুর ওলানের পাশের স্নায়ুকে নাড়া দেবে। এমন সময় গরু মলমূত্র ত্যাগ করবে; যা ওই শৌচাগারে পড়বে।

নেদারল্যান্ডসের পূর্বাঞ্চলের শহর ডোয়েটিনচেমের একটি ফার্মে পরীক্ষামূলকভাবে এই শৌচাগারের ব্যবহার শুরু হয়েছে। ফার্মের ৫৮টি গরুর মধ্যে সাতটি ইতোমধ্যে স্নায়ুকে নাড়া দেয়া ছাড়াই এই শৌচাগারের ব্যবহার শিখে ফেলেছে।

উদ্ভাবক হেঙ্ক হ্যান্সক্যাম্প বলেন, গরুগুলো অভ্যস্ত হচ্ছে। তারা বক্স চিনে ফেলেছে। বক্সের সামনে গিয়ে লেজ গুটিয়ে মূত্র ত্যাগ করছে। গো-শৌচাগারের পরীক্ষামূলক ব্যবহারের সঙ্গে জড়িত ভেটেরিনারি চিকিৎসক জ্যান ভিলেমা বলেন, এর ফলে গো-শালা পরিষ্কার হচ্ছে এবং মাটি শুষ্ক থাকছে। কম নরম মাটি গরুর ক্ষুরের জন্য বেশি স্বাস্থ্যকর।

অ্যামোনিয়া নির্গমনের ব্যাপারে ইতোমধ্যে নেদারল্যান্ডস কঠোর আইন চালু করেছে। এই অ্যামোনিয়ার কারণে পরিবেশ দূষণ এবং মানুষের চোখের জ্বালাপোড়া তৈরি হয়।

২০২০ সালের মধ্যে উদ্ভাবক হেঙ্ক হ্যান্সক্যাম্পের কোম্পানি গরুর জন্য তৈরি এই শৌচাগার বাজারজাত করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।