এবার আমাকে হারানোর মতো কেউ নেই : মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২১ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৯

ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোট আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও নির্বাচন সংক্রান্ত বেশ কিছু বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ ও ব্যক্তিগত আয় হতে পারে মোদির পরাজয়ের কারণ।

বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ১১ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হবে ১৯ মে। সাত ধাপের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে ২৩ মে। শুক্রবার রিপাবলিক ভারত টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে মোদি নির্বাচনে তার দলের সহজ জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের জোট শরিকরা বিগত লোকসভা নির্বাচনের চেয়েও এবার বেশি আসনে জয়ী হবে।’

মোদির নেতৃত্বাধীন কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি ও তার জোট শরিকরা ২০১৪ সালের নির্বাচনে গত ত্রিশ বছরের মধ্যে রেকর্ডসংখ্যক আসনে জয়ী হয়। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার ভঙ্গুর অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ব্যর্থ হওয়ায় হেরে যায়।

নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে অবশ্য দেশটির অর্থনীতি অনেকটা চাঙ্গা হয়েছে। কিন্তু মানুষের ব্যক্তিগত আয়ের পরিমাণ অনেক হ্রাস পেয়েছে যা ভারতের বেশিরভাগ মানুষকে অসুখী করেছে।

বিজেপির দলীয় নেতাকর্মীদের দুর্নীতি, কৃষিপণ্যের মূল্যের অস্বাভাবিক নিম্নগতি, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে উত্তেজনাসহ নানা কারণে জনপ্রিয়তা কমছে বলে বিভিন্ন সময় খবর বেরিয়েছে

বছরের শুরুতেও বিভিন্ন জনমত জরিপেও ভারতের এবারের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে জনমত জরিপের পাল্লা মোদির দিকেই ভারী বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে ঘাম ঝড়াচ্ছেন। তাছাড়া আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারেও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। রাহুল গান্ধী তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দলের সম্পাদক করে উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছেন।

কাশ্মীরের পুলওয়ামাকাণ্ডের পর প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানে ঢুকে ভারতের হামলার ঘটনা মোদিকে অনেকটা এগিয়ে রেখেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই হামলায় যে জাতীয়তাবাদের ঢোল বাজিয়েছেন মোদি সেটাই তার ভাগ্য প্রসন্ন করেছে।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে মোদি বলেছেন, তাদেরকে ক্ষমতায় আসতে হলে আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। কংগ্রেসের এখন বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো ক্ষমতা নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ইঙ্গিত করে মোদি বলেন, ‘আগামী ২০২৪ সালে হয়তো মোদির বিপক্ষে কে? এই প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু ২০১৯ সালে জনগণ কাকে নির্বাচিত করবে সে সিদ্ধান্ত তারা নিয়ে ফেলেছে তারা আর কাউকে খুঁজছে না।’

তবে নির্বাচনে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কতটা প্রভাব ফেলবে এ নিয়ে বড় কোনো জরিপ হয়নি এখনো। বিরোধী দল অভিযোগ তুলেছে, মোদি দেশের যোদ্ধাদের নির্বাচনে জেতার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। তাইতো তিনি সবখানে পাকিস্তানে হামলার প্রসঙ্গ টানেন।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।