ভোটের আগে মোদির জীবনকাহিনি নিয়ে আসছে ওয়েব সিরিজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ এএম, ২৮ মার্চ ২০১৯

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বায়োপিক মুক্তি পাওয়ার কথা ৫ এপ্রিল। আর এই এপ্রিলেই শুরু হবে নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি ওয়েব সিরিজ। মোদির ছোটবেলা থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত গোটা জীবনটা তুলে ধরা হবে ওয়েব সিরিজে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ৩ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের ট্রেলারে দেখানো হয়েছে তারই ঝলক।

সিরিজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা আশিস শর্মাকে। কিশোর মোদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফইজল খান। ট্রেলারে যেমন উঠে এসেছে মোদির জীবন কাহিনি, তেমনই উঠে এসেছে গুজরাটের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ এবং জরুরি অবস্থার কথা। সেন্সর বোর্ডের সদস্য মিহির ভুটা ও রাধিকা আনন্দ লিখেছেন এর চিত্রনাট্য। পরিচালনা করেছেন উমেশ শুক্লা।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে শিয়রে নির্বাচন। এই মৌসুমে কি মোদির বায়োপিক নিয়ে ওয়েব সিরিজ করা বিজেপির প্রচারের নামান্তর? কারণ, প্রধানমন্ত্রীর জীবন নিয়ে যে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে, তার নির্মাতাদের ইতোমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ছবির মুক্তি পেছনোর দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক আইনজীবী। ছবিটির ওপর নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক, এমন দাবি তুলে সরব হয়েছিল কংগ্রেসও। এমনকি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকও হয়। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার তরফে ছবির নির্মাতাদের রীতিমতো হুমকি দেয়া হয়। জানিয়ে দেয়া হয়, নির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্রে ছবি মুক্তি পেলে ফল ভালো হবে না। এরপরই ছবির নির্মাতাদের নোটিশ ধরায় নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোনও রাজনৈতিক ছবির প্রদর্শন করা যায় না। ৩০ মার্চের মধ্যে নোটিশের জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিজেপির অরুণ জেটলি অবশ্য বাকস্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করে ছবিটির সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন।

তবে প্রশ্ন এখানে অন্য জায়গায়। মোদির ছবির ওপর যে খাঁড়া নেমে এসেছে, তার ওয়েব সিরিজের উপরও কি একই প্রভাব পড়বে? কারণ এটিও ভোটের মুখেই মুক্তি পাচ্ছে।

জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।