যে কারণে সিনেটরের মাথায় ডিম ভেঙেছিল ‘এগ বয়’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৯

অভিবাসনের কারণেই ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং। এমন মন্তব্যের পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এছাড়া মেলবোর্নে এক সংবাদ সম্মেলনে তার মাথায় ডিম দিয়ে আঘাত করেন উইল কনোলি নামের এক কিশোর।

ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকেই ওই কিশোর ‘এগ বয়’ নামে পরিচিতি পান। তবে ওই কিশোর নিজেও ভাবেননি যে, তিনি রাতারাতি এত ভাইরাল হয়ে যাবেন। সামাজিক মাধ্যমে তার এমন কর্মকাণ্ডে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে সবাই তাকে নিয়ে এত মাতামাতি করায় তিনি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেছেন বলেও জানিয়েছেন।

‘এগ বয়’ উইল কনোলি মেলবোর্নের হ্যাম্পটনের বাসিন্দা। সিনেটরের মাথায় ডিম ভাঙ্গার মুহূর্তটি পুরো বিশ্বের মানুষের নজর কাড়ে। মাথায় ডিম ভাঙার পর সিনেটরও ওই কিশোরের দিকে তেড়ে আসেন। তাকে চড় মারেন। এছাড়া সিনেটরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা সেই কিশোরের ওপর হামলে পড়েন। এমন দৃশ্য প্রকাশ হওয়ায় বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছিল ফ্রেজার অ্যানিংকে।

দ্য প্রজেক্ট অস্ট্রেলিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ‘এগ বয়’ খ্যাত ওই কিশোর জানিয়েছেন কি কারণে তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন। তিনি বলেন, সিনেটরের দেয়া একটি বিবৃতি পড়েছিলাম আমি। সেটা আমার কাছে অপমানজনক মনে হয়েছিল। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ঠিক ছিল না। তাই যখনই আমি তাকে দেখলাম আমার মাথায় এটা চলে এলো আর আমি এই কাজ করে ফেললাম। তবে এটা ঠিক হয়নি বলেও উল্লেখ করেছেন ওই কিশোর।

তিনি বলেন, এতটা জনপ্রিয়তা আশা করেননি। এমনকি তিনি এটাও ভাবেননি যে ফ্রেজার অ্যানিং তার ওপর প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠবেন।

উল্লেখ্য গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু'টি মসজিদে হামলার ঘটনায় ৫০ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। এছাড়া এখনও কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৮ বছর বয়সী উগ্র-ডানপন্থি ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামের এক অস্ট্রেলীয় নাগরিক ওই হামলা চালায়। ভয়াবহ ওই হামলার পরই এ বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কুইন্সল্যান্ডের সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং। এরপরেই একটি সংবাদ সম্মেলনে তার মাথায় ডিম ভাঙা হয়।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।