নাটোরে গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী লাইফ সাপোর্টে


প্রকাশিত: ১২:৪৬ এএম, ৩১ আগস্ট ২০১৫

নাটোরের তেবাড়িয়ায় যুবলীগের মিছিলে হামলায় গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী রাজীবকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবীড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। শনিবার রাতে অপারেশনের পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

রাজীবের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাথায় গুলিবিদ্ধ রাজীবের রাতেই অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পরে কিছু সময় তার অবস্থা ভালো ছিল। কিন্তু হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার পর শনিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলা যুবদল সভাপতিসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতা-কর্মীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন জেলা যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হকের ছেলে ব্যবসায়ী সাদেকুল হক সুকেল (৩৫), যুবদল কর্মী আলী আজগর লিমন (২৮), বিএনপি কর্মী হাবিবুর রহমান মিলন (৪৫), আবুল কালাম আজাদ (৬০), আনোয়ার হোসেন মিলন (৪৫), ছাত্রদল কর্মী সোহেল আনোয়ার (২৩), কাওসার আলম ও শ্রী শরৎ কুমার (১৮)।

প্রসঙ্গত, নাটোরের তেবাড়িয়ায় যুবলীগের মিছিলে হামলায় দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তেবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দফায়-দফায় সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী রাজিব ও নাজমুল নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজিবকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গুলিবিদ্ধ দুই যুবলীগ কর্মীর মধ্যে রাজিব রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আর নাজমুল নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গুলিবিদ্ধ রাজীব (১৭) নাটোর সদর উপজেলার হুগোলবাড়িয়া এলাকায় আমিন হোসেনের ছেলে ও নাজমুল (৩৭) তেবাড়িয়া এলাকার মৃত নাদের সরকারের ছেলে।

নাজমুল ইসলাম/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।