আরও হামলার পরিকল্পনা ছিল ক্রাইস্টচার্চের হামলাকারীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৪ এএম, ২০ মার্চ ২০১৯

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। উগ্র-ডানপন্থী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিক মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করে। ওই হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

তবে ব্রেন্টনকে আটক করা না গেলে সে আরও হামলা চালাত। ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদ ও লিউনউডের ইসলামিক সেন্টারের মসজিদে হামলা চালায় এই শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থি। নিউজিল্যান্ডের পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, ওই দুই মসজিদে হামলার পর আরও হামলার পরিকল্পনা ছিল ব্রেন্টনের। কিন্তু তার আগেই কর্তৃপক্ষ তাকে থামাতে সক্ষম হয়।

কর্তৃপক্ষ ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছে। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, কর্তৃপক্ষ এটা বিশ্বাস করে যে, পরবর্তী হামলার আগেই তারা তাকে থামাতে পেরেছে। এতে করে অনেকের প্রাণ বেঁচে গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি তিনি। কারণ এই ঘটনা অনেককেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে।

এদিকে, বুধবার সিরীয় শরণার্থী খালেদ মুস্তাফা (৪৪) এবং তার ছেলে হামজাকে (১৫) দাফনের মাধ্যমে ক্রাইস্টচার্চে নিহতদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও হামলার ঘটনার পর নিহতদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হতে পাঁচদিন সময় লেগে গেছে।

মঙ্গলবার মসজিদে হামলায় নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর শুরু করে কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবারের হামলার চারদিন পর মাত্র ছয়জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।

মসজিদে হামলায় নিহতদের বেশিরভাগেরই পরিচয় শনাক্ত করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মোট ১২ জনের মরদেহ শনাক্ত করতে পেরেছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। আর চিহ্নিত বারোটি মরদেহের মধ্যে ছয়টি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এসব মরদেহ দাফনের জন্য ইতোমধ্যেই মেমোরিয়াল পার্ক কবরস্থানে কবর খোড়া হচ্ছে। সেখানে কয়েকশ মানুষ দাঁড়িয়ে নিহতদের স্মরণ করেছেন।

শুক্রবার হামলা চালানো দু'টি মসজিদের একটি লিউনউড মুসজিদ। বুধবার ওই মসজিদের কাছেই জানাজা শুরু হয়। সেখানে শত শত মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। জানাজার নামাজে নিহত খালেদ মুস্তাফা এবং তার ১৫ বছর বয়সী ছেলে হামজার রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।