দালাই লামাকে মাসুদ আজহারের সঙ্গে তুলনা, টুইটারে ঝড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১৫ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৯

পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের সঙ্গে তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামাকে তুলনা করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হামিদ মীর। তার এই মন্তব্যের জন্য টুইটারে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।

মাসুদ আজহারকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভূক্ত করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাবে চীন ভেটো দেয়ার পর পাকিস্তানি ওই সাংবাদিক এক দশক আগের পুরনো একটি সংবাদ রিটুইট করেন। ওই সংবাদের শিরোনামে তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামাকে সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

হামিদ মীর টুইটে বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে চীন কেন ভেটো দিয়েছে; সেটা বোঝা অত্যন্ত সহজ। কয়েক দশক আগে থেকে ভারত চীনের একজন শত্রুকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং তার নাম হলো দালাই লামা।

চীন শাসনের বিরোধিতায় তিব্বতিদের শুরু হওয়া গণঅভ্যুত্থানের পর ১৯৫৯ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান দালাই লামা। সেই সময় তিনি ভারতে আশ্রয় নেন; তখন থেকেই দেশটিতে রয়েছেন তিনি।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা। বিভিন্ন সময় বিশ্বের অনেক দেশ তাকে সম্মাননা দিয়েছে। ১৯৮৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী হন তিনি।

বৃহস্পতিবার টুইটারে হামিদ মীরের সমালোচনায় দালাই লামার নামে একটি হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড হয়েছে। এতে পাকিস্তানি এই সাংবাদিকের তীব্র সমালোচনা করেন অনেকে।

বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের জয়েশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভূক্তির একটি প্রস্তাবে চতুর্থবারের মতো ভেটো দেয় চীন।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জয়েশের হামলায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর ৪০ সদস্যের প্রাণহানির পর বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে ওই প্রস্তাব আনা হয়। পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের মিত্র চীন প্রস্তাবে ভেটো দেয়ায় শেষ পর্যন্ত তা আটকে যায়। তবে চীনের এই ভেটোতে নাখোশ হয়েছে প্রতিবেশি ভারত।

সূত্র : এনডিটিভি।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।