আবারও মাসুদ আজহারের পাশে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১২ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৯

পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া আরও একবার থমকে গেল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চীনের বাধায় মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ভারতের উত্থাপিত এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশ। কিন্তু চীনের বিরোধিতায় মাসুদ আজহারকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আনা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় ভারত ‘হতাশ’ হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ তালিকায় আনার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। গত দশ বছর ধরেই ভারত সরকার বিষয়টির জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর কাছে।

কিন্তু বেইজিংয়ের আপত্তিতে প্রত্যেকবারই তাদের হোঁচট খেতে হয়েছে। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর নয়াদিল্লির চেষ্টায় এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে মাসুদ আজহারের ভূমিকা সামনে চলে আসায় প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রই উঠে পড়ে লেগেছিল। সেই সঙ্গে সক্রিয় হয়েছিল পশ্চিমা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোও।

কিন্তু তারপরেও এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে চীন। প্রস্তাব পেশ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও তার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বিষয়টির মীমাংসা ‘প্রত্যেকের কাছে গ্রহণযোগ্য’ হওয়া প্রয়োজন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেন, আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, দায়িত্বশীল রাষ্ট্রের মতো আচরণ করবে চীন।

চীনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র রবার্ট পালাডিনো বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করার যে কয়টি শর্ত প্রয়োজন, তার সবকয়টিই মাসুদ আজহারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চীনের বাধায়
মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটিতে ঐকমত হয়নি।

প্রস্তাবে আপত্তি জানানোর সময়সীমা শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে চীন জানায়, এই প্রস্তাব বিবেচনা করতে তাদের আরও সময় প্রয়োজন। এ নিয়ে চারবার এই উদ্যোগ আটকে দিল বেইজিং।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।