অন্য দেশে হস্তক্ষেপের দিন শেষ : যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ইরান। তেহরান বলেছে, সময় পাল্টে গেছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র যেন নিজেকে সময়ের সঙ্গে বদলে ফেলার চেষ্টা করে। খবর পার্স ট্যুডে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সম্প্রতি তিনদিনের সফরে ইরাকে রয়েছেন। তার এই সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে এক মার্কিন কর্মকর্তা সংশয় প্রকাশ করার পর তেহরান এই প্রতিক্রিয়া জানাল।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বলেছেন, ইরান ও ইরাক তাদের সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে দেশ দু’টি কারো অনুমতি নেবে না। তিনি আরো বলেন, ইরান ও ইরাকের জননির্বাচিত সরকার নিজেদের সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কাজেই যুক্তরাষ্ট্রের মতো যে দেশটির ইতিহাস যুদ্ধ ও আগ্রাসনের রেকর্ডে পরিপূর্ণ তাকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে আর ইরাক-ইরান সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ দেয়া হবে না।
এর আগে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ইরান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির বাগদাদ সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আলহুরা টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হুক বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট কেন তার নিজ দেশের জনগণের স্বার্থ বাদ দিয়ে ইরাকি জনগণের কল্যাণ কামনায় ব্রতী হলেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
হুক দাবি করেন, আসলে ইরাকের ভেতর দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের অপর প্রান্তে ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য অস্ত্র ও যোদ্ধা পাঠানোর নিরাপদ রুট তৈরি করতেই প্রেসিডেন্ট রুহানি ইরাক সফরে গেছেন।
হুকের এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরো বলেন, ইরাক-ইরান সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতায় ওয়াশিংটনের মাথাব্যথার কারণ সহজেই বোধগম্য। যুক্তরাষ্ট্র হাজার হাজার কোটি ডলার খরচ করেও মধ্যপ্রাচ্যে নিজের জন্য কাঙ্ক্ষিত অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের এই দুর্বল অবস্থানের জন্য দেশটির আগ্রাসী ও হস্তক্ষেপের নীতিকে দায়ী করেছেন বাহরাম কাসেমি।
টিটিএন/এমকেএইচ