সার্ফ এক্সেলের বিজ্ঞাপনে তিক্ত প্রতিক্রিয়া ভারতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৩ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৯

সম্প্রতি ডিটারজেন্ট ব্র্যান্ড সার্ফ এক্সেলের বিজ্ঞাপনের ভিডিও প্রকাশ করেছে হিন্দুস্থান ইউনিলিভার। ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকেই অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। তাদের অভিযোগ, এর মাধ্যমে কথিত 'লাভ জিহাদ' বা হিন্দু মেয়ের সঙ্গে মুসলিম ছেলের প্রেমে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে।

'রঙ লায়ে সঙ্গ' নামে বিজ্ঞাপনী ক্যাম্পেইনের এই ভিডিওতে দেখা যায়, হোলির সময় বাইসাইকেলে চেপে একটি বাচ্চা মেয়ে তাদের মহল্লায় সব বন্ধু-বান্ধবকে তার দিকে রঙ ছুঁড়তে বলে, যাতে একটা সময় তাদের রঙের বেলুন ফুরিয়ে যায়। মেয়েটি এই কাজের উদ্দেশ্য- রঙ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সে তার আরেক মুসলিম বন্ধুকে সাইকেলের পেছনে বসিয়ে নিরাপদে মসজিদে পৌঁছে দেয়া।

বাচ্চাদের রঙ ফুরিয়ে যাওয়ায়, তারা তখন আর কোনও বেলুন ছুঁড়তে পারে না। এদিকে মুসলিম বাচ্চা ছেলেটিও তার ধবধবে সাদা কুর্তা পাজামায় কোনও রঙের দাগ না লাগিয়েই মসজিদে পৌঁছে যায়।

surf

তবে সম্প্রীতির এই সুন্দর বিজ্ঞাপনী গল্প নিয়েও ভারতে ভীষণ তিক্ত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিজ্ঞাপনটিতে যে গল্প বলা হয়েছে, তার একটি বিকল্প ন্যারেটিভ তুলে ধরতে অনেকে আবার হিন্দু পুরুষদের সঙ্গে হিজাব-পরিহিত মুসলিম নারীদের হোলি খেলার ছবি পোস্ট দিতে শুরু করেছেন।

শুধু তাই নয়, সার্ফ এক্সেলসহ তাদের নির্মাতা সংস্থা হিন্দুস্থান ইউনিলিভারের যাবতীয় পণ্য বর্জনেরও ডাক দিয়েছে। গত শনিবার থেকেই ভারতে শুরু হয়েছে (হ্যাশট্যাগ) বয়কটসার্ফএক্সেল।

তবে এর পাশাপাশি অনেকে অবশ্য ভালবাসা, বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির নজির হিসেবে বিজ্ঞাপনটির প্রশংসাও করছে।

বামপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনীতিবিদ কবিতা কৃষ্ণন টুইট করেন, সঙ্ঘ পরিবারের অনুগামী ঘৃণার কারবারিরাই লাভ জিহাদের চশমা দিয়ে বিজ্ঞাপনটিকে দেখছেন। ভালবাসার পাঠ দিয়ে এদেরকে একটা উপযুক্ত শিক্ষা দিন।

ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার ধ্রুব রাঠী হিন্দুত্ববাদীদের একের পর এক পণ্য বর্জন করার ডাক দেয়াকে কটাক্ষ করে লেখেন, এভাবে চললে ভক্তদের তো খাবার জন্য গোবর আর পান করার জন্য গো-মূত্র ছাড়া কিছুই আর বাকি থাকবে না!

সূত্র : বিবিসি

এমএসএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।