ভোগান্তিতে শাবির তিন হাজার শিক্ষার্থী


প্রকাশিত: ০৩:১৫ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৫

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের চারটিতে গত চার মাস ধরে হল প্রভোস্ট নেই।

প্রভোস্ট না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হলগুলোতে থাকা প্রায় তিন হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী। হলগুলোর এই অব্যবস্থাপনায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের জন্য শাহপরাণ হল, দ্বিতীয় ছাত্র হল, সৈয়দ মুজতবা আলী হল এবং মেয়েদের জন্য প্রথম ছাত্রী হল, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল রয়েছে।এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন মেয়েদের জন্য ভাড়া করা “আমির কমপ্লেক্স” এবং “সামাদ হাউস” নামে আরোও ২টি হল রয়েছে।এর মধ্যে দ্বিতীয় ছাত্র হলের প্রভোস্ট থাকলেও অন্য হলগুলোতে প্রভোস্ট না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হলগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

সূত্র জানায়, উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়ার পদত্যাগ দাবিতে গত ২০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭টি প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন আওয়ামীপন্থী মহান মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের শিক্ষকরা যাদের মধ্যে হলের প্রভোস্টরাও ছিলেন।পরে নতুন করে ৭টি প্রশাসনিক পদে নিয়োগ দেয়া হলেও দ্বিতীয় ছাত্র হল ছাড়া অন্য হলগুলোতে প্রভোস্ট দেয়া হয়নি।
sahajalalহলের আবসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, হল প্রভোস্ট না থাকায় হলের ডাইনিং এর খাবারের মান কমে গেছে। তাছাড়া সেমিস্টার ফি, ক্রেডিট ফিসহ নানান কাজে প্রভোস্টের স্বাক্ষর না পাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগের মুখোমুখী হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

প্রথম ছাত্রী হলের শিক্ষার্থী আফসানা বলেন, হলে প্রভোস্ট না থাকায় আমরা এখন হলে নিজেদেরকে অনিরাপদ মনে করছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহপরাণ হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষক রাজনীতির কারণে হল প্রভোস্ট থাকবে না এটা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মেনে নেয়া যায় না কোনো ভাবেই।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া জাগো নিউজকে বলেন, আশা করছি সমস্যার দ্রুতই সমাধান হবে।তিনি পদত্যাগকারী শিক্ষকদের স্বপদে ফিরতে আহ্বান জানান।

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।