ইরান-ইরাক সম্পর্কে বাধা দিতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ বলেছেন, ইরাকের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করার যে সংকল্প দু’দেশ নিয়েছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। তিনি বলেছেন, কোনো চাপের মুখে নয় বরং ইরাক সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর পার্স ট্যুডে।
বাগদাদ সফররত জারিফ সোমবার বলেন, ইরাকের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। ইরাক আমাদের প্রতিবেশী দেশ। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরাক ও ইরানের জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। এমনকি ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেন ১৯৮০ সালে ইরানের ওপর আট বছরের যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েও সে সম্পর্ক নষ্ট করতে পারেনি।
ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার জন্য বাগদাদের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়নি; চাপ প্রয়োগ তো দূরের কথা। তিনি বলেন, বরং যুক্তরাষ্ট্রই ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নেয়ার জন্য বাগদাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। তবে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা ইরানের নেই বলেও জারিফ উল্লেখ করেন।
মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সফরসঙ্গী হিসেবে বর্তমানে বাগদাদে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট রুহানি সোমবার থেকে তিনদিনের ইরাক সফর শুরু করেছেন। ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম তিনি বাগদাদ সফরে গেলেন।
এমন সময় এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মার্কিন সরকার ইরাক ও ইরানের সম্পর্কে ফাটল ধরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব কমানোর জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
টিটিএন/এমকেএইচ