পাঠ্য বই যায় বিক্রেতার কাছে


প্রকাশিত: ১০:৫৩ এএম, ২৯ আগস্ট ২০১৫

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের নাফানগর দাখিল মাদ্রাসায় গোপনে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার সুপার মো. আজগর আলী ও অফিস সহকারী মামুনুর রশিদের সহযোগিতায় গোপনে স্কুল ছুটির পর সরকার কর্তৃক সরবরাহকৃত বোর্ড বই বিক্রি করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বইগুলো জব্দ করেছেন।

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার নাফানগর দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী মো. মানিক ও পিয়ন মো. জাফরুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, গত ২৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি শেষে সুপার তাদেরকে কাজের কথা বলে মাদ্রাসায় থাকতে বলেন। পরে বেলা আনুমানিক বেলা ৩টার দিকে অফিসের একটি কক্ষে থাকা সরকারি বোর্ড বই বের করে ওজন করতে বলেন। এসময় কয়েকজন বই ক্রেতা ভ্যান ও অটোরিকশা নিয়ে মাদ্রাসায় এলে বোর্ড বইগুলো ভ্যানে ও অটোতে উঠিয়ে নেন।

এসময় মাদ্রাসার একজন সহকারী শিক্ষক মো. রেজাউল ইসলাম ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক বিষয়টি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. লাইছুর রহমানকে অবগত করেন। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে এসে তাৎক্ষণিক মাদ্রাসায় এসে সুপারকে বোর্ড বই বিক্রি করতে নিষেধ করেন এবং সকল বই জব্দ করে একটি কক্ষে তালা লাগিয়ে  রাখেন।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার শিক্ষকরা বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. লাইছুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, এ ব্যাপারটি নিয়ে কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মাদ্রাসার সুপার আজগর আলীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মো. মিজানুর রহমান সুপার কর্তৃক সরকারি বোর্ড বই গোপনে বিক্রির চেষ্টার বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।

এমদাদুল হক মিলন/এমজেড/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।