রাজধানীর বাইরেও রিহ্যাবকে কাজ করার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর


প্রকাশিত: ১০:২৭ এএম, ২৯ আগস্ট ২০১৫

ঢাকাসহ পাশ্ববর্তি এলাকায় আবসন ব্যবসায়ীদেরও কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রিহ্যাব আয়োজিত বর্ষসেরা সাংবাদিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রিহ্যাবের জেষ্ঠ্য সহ সভাপতি রবিউল হক। বক্তব্য রাখেন রিহ্যাবের সহ সভাপতি (প্রশাসন) মো. ওয়াহিদুজ্জামান এবং সহ সভাপতি (প্রথম) লিয়াকত আলী ভূইয়া। অনুষ্ঠানে ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার মোট ১৯ সংবাদিককে রিহ্যাব পুরস্কার দেয়া হয়। ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের হিরযুন মীরা। আর প্রিন্ট ক্যাটাগলিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন কালের কণ্ঠের তোফাজ্জল হোসেন রুবেল। তাদের প্রত্যেককে সম্মাননা হিসেবে দুই লাখ টাকা এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ২য় এবং ৩য় পুরস্কার প্রাপ্তদের প্রদান করা হয় যথাক্রমে এক লাখ এবং ৭৫ হাজার টাকা।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য এবং স্বল্পবিত্তদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ প্রবর্তন করা দরকার। একই সঙ্গে বাজেটে যে অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যবহারের সুয়োগ দেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে অহেতুক ঝামেলা না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আগামীতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, সবুজ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং যানজট মুক্ত নগরী গড়তে রিহ্যাবের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। 

মন্ত্রী বলেন, আবাসন ব্যবসা এখন আর শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। প্রতিটি জেলায় আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, আবাসন খাতের জন্য স্বল্প সুদে সাতশ কোটি টাকার বিশেষ একটি তহবিল গঠন করা হয়েছিলো। যা এখন বন্ধ রয়েছে। আমরা মনে করি এই ধরনের তহবিলের এখন এ খাতের জন্য খুবই প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। তারা আশ্বস্ত করেলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। আমরা আবাসন খাতের বিভিন্ন সমস্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবো।

এসআই/এএইচ/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।