কিশোর ছাত্রকে শতাধিকবার ধর্ষণ, শিক্ষিকা গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ০৭ মার্চ ২০১৯

কিশোর শিক্ষার্থীকে শতাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দামী উপহারের প্রলোভন দেখিয়ে ও চাপ প্রয়োগ করে কিশোর শিক্ষার্থীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে। হেদার উইনফিল্ড নামের ৩৮ বছর বয়সী অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীদের পড়াতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১১ বছর বয়স থেকে এক কিশোর শিক্ষার্থীকে শতাধিকবার জোর করে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছেন তিনি।

সম্প্রতি ১৪ বছরের ওই কিশোর অভিযোগ করে, স্কুলের শিক্ষিকা উইনফিল্ড উপহারের লোভ দেখিয়ে যৌন সঙ্গমে বাধ্য করেছে তাকে। তিন বছর ধরে এই নিপীড়ন সহ্য করেছে সে। পরে এক বান্ধবীর সহায়তায় পুলিশের কাছে অভিযোগের সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও পড়ুন : আমাদের দেশে কোনো সমকামী নেই : মালয়েশিয়ার মন্ত্রী

তিন সন্তানের মা উইনফিল্ড তাকে ছোটবেলা থেকে দামী উপহার দিয়ে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছিল বলে অভিযোগ করেছে ওই কিশোর। ফ্লোরিডা ও টেনেসিতে পারিবারিক ছুটিতেও তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতো উইনফিল্ড। বাধা দিলে বা আপত্তি করলে শারীরিক নির্যাতন করা হতো বলে দাবি তার।

winfield-1

ওই কিশোরের দাবি, দিনের যেকোনো সময় ওই শিক্ষিকা তাকে এ কাজে বাধ্য করতো। কিশোর তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জানিয়েছে, যৌন নিপীড়নের ছবি ও ভিডিও তার কাছে রয়েছে। ফেসবুকে উইনফিল্ডের পাঠানো বার্তাও তদন্তকারীদের দেখায় ওই কিশোর। ওই মেসেজ দেখেই তাকে পুলিশের কাছে নিয়ে যায় কিশোরের বান্ধবী।

আরও পড়ুন : ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক করা হারাম : ফিলিস্তিনি মুফতি

তবে কিশোর শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষিকা উইনফিল্ড। তিনি বলেছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযোগ ওঠার পর উইনফিল্ডকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।