এইচআইভি ভাইরাসমুক্ত হলেন ব্রিটিশ রোগী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৬ পিএম, ০৫ মার্চ ২০১৯

চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঘটলো আরো একটি যুগান্তকারী ঘটনা। দ্বিতীয় আরেকজন ব্রিটিশ রোগীকে মরণব্যাধি এইডসের ভাইরাস এইচআইভিমুক্ত করা গেছে। এই কাজটি করা হয়েছে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনের প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘ন্যাচার’ এ-সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। ওই নিবন্ধটি মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের চিকিৎসাবিষয়ক এক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। তবে সঙ্গত কারণে রোগীর নাম-পরিচয়, বয়স ও জাতীয়তা গোপন রাখা হয়েছে। তার নাম দেয়া হয়েছে ‘লন্ডন পেশেন্ট’ অর্থাৎ লন্ডনের রোগী।

প্রকাশিত নিবন্ধ অনুযায়ী বেশকিছু বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, লন্ডন পেশেন্ট নামের ওই রোগী এইডসের ভাইরাল ইফেক্শন থেকে এখন মুক্ত। তাদের এমন পদ্ধতি বিশ্বে ৩ কোটি ৭০ লাখ এইডস আক্রান্ত রোগীর ওপর প্রভাব ফেলবে। এমন সাফল্য মানুষকে এইডস নির্মূলে আশাবাদী করে তুলবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এইডস নির্মূলে প্রথম যে সাফল্যাটি এসেছিল তাও আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে। প্রথম যে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে এইএচআইভি নির্মূল করা সম্ভব হয়েছিল তার নাম দেয়া হয়েছিল ‘বার্লিন পেশেন্ট।’ তাকেও অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এইডস ভাইরাসমুক্ত করা হয়েছিল।

চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক রবীন্দ্র গুপ্তা। তিনি রোগীর শরীর থেকে এইচআইভি ভাইরাস নির্মূলের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আগের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে দ্বিতীয় একজনকে এইচআইভি থেকে উপশম করা সম্ভব হয়।’

তিনি বলেন, ‘তবে এ সাফল্যের মানে এই নয় যে, এইচআইভি থেকে আরোগ্য লাভের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। এ ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বিজ্ঞানীরা একদিন এইডস নির্মূল করতে পারবেন।’

অধ্যাপক রবীন্দ্র গুপ্তা বলেন, ‘আমি ও আমার সহকর্মীরা ওই ব্যক্তির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। তবে এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না যে তিনি সুস্থ হয়ে গেছেন। ২০০৭ সালে যে রোগীর শরীর থেকে এইচআইভি নির্মূল করা হয়েছিল তিনি এখন ভাইরাসমুক্ত।’

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।