ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিলের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ০৫ মার্চ ২০১৯

পণ্য রফতানিতে ভারতকে দেয়া অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) প্রত্যাহার করে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিনা শুল্কে পণ্যের প্রবেশের যেসব মানদণ্ড রয়েছে তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত।

মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তুরস্ককে দেয়া অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধাও প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অনৈতিক বাণিজ্য সুবিধা ঠেকানোর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে ভারতের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কংগ্রেসের কাছে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ভারতের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি নয়াদিল্লি।

এর ফলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) কার্যালয়কে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা কর্মসূচির তালিকা থেকে ভারতের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।

কংগ্রেসের কাছে পাঠানো চিঠিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমি এই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি, কারণ ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিবিড় সম্পর্কের মধ্যে ভারতের বাজারে আমাদের পণ্য যৌক্তিক প্রবেশ করবে এমন নিশ্চয়তা দিতে পারেনি দেশটি।

অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধার (জিএসপি) আওতায় বিশ্বের উন্নয়নশীল কিছু দেশের নির্ধারিত কিছু পণ্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ সাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিনাশুল্কে প্রবেশের অধিকার পায়। আর এসব মানদণ্ড মার্কিন কংগ্রেসই নির্ধারণ করে দেয়।

তুরস্কের পণ্যের ক্ষেত্রেও দেয়া এই সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পেছনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দেশটি অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত হওয়ায় জিএসপির সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভারত এবং তুরস্ক সরকারকে এ ব্যাপারে অানুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করার পর জিএসপি সুবিধা বাতিল হবে। তবে এতে সময় লাগবে কমপক্ষে ৬০ দিন।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।