হামলার আগে বালাকোটে সক্রিয় ছিল ৩০০ মোবাইল
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত পেরিয়ে পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের বালাকোটে হামলা চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। হামলা চালিয়ে জয়েশ-ই-মোহাম্মদের বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং তিনশ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছে ভারত।
হামলার আগের দিন ওই এলাকায় প্রায় তিনশ মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল। দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের এক সপ্তাহ পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে দ্য ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (এনটিআরও)।
সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ঠিক কত জঙ্গি নিহত হয়েছে, সেই সংখ্যা নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছেই। তার মধ্যেই এমন তথ্য সামনে এলো। তবে এনটিআরও যে তথ্য প্রকাশ করেছে তা বালাকোটে হামলায় জঙ্গিদের হতাহত সম্পর্কে আরও তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকেই সাংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে যে, ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযানে অন্তত তিনশ জঙ্গি নিহত হয়েছে। কিন্তু এ খবর নিয়ে বিভিন্ন মহলে ইতোমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরের দিনই সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বহু সংখ্যক জঙ্গি নিহত হয়েছে।
অপরদিকে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিমানবাহিনীর প্রধান বিএস ধানোয়াও জানিয়েছেন যে, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে তারা আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রকাশ করার বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের উপর। হতাহতের সংখ্যা নির্ণয় করা তাদের কাজ নয় বলেও উল্লেখ করেছেন বিএস ধানোয়া।
ভারতের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, বালাকোটে জয়েশের বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটির খোঁজ আগেই পেয়েছিল গোয়েন্দারা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সেখানে প্রায় তিনশ সক্রিয় মোবাইল ফোনের উপস্থিতির কথা জানতে পারে দি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন। সেই তথ্য তুলে ধরা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। এরপরই বিমানবাহিনীকে অভিযানের অনুমতি দেয় কেন্দ্র এবং ভোররাতে নির্দিষ্ট স্থানে হামলা চালানো হয়।
টিটিএন/এমকেএইচ