মানুষের মূত্র সঞ্চয়ের আহ্বান ভারতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ০৪ মার্চ ২০১৯

ইউরিয়া আমদানির খুব প্রয়োজন নেই। বরং মূত্র সঞ্চয় করলেই হবে। মূত্র সঞ্চয় করলে কৃষিকাজের উন্নতির জন্য ভারতকে আর দেশের বাইরে থেকে মূল্যবান সার আমদানি করতে হবে না। এমন প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি।

রোববার মহারাষ্ট্রের নাগপুরের এক সভায় দেশটির কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী এসব প্রস্তাবের কথা বলেন। শুধু তাই নয়, বিমানবন্দরে মূত্র সঞ্চয়েরও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। নিতিন বলেন, জৈব সার হিসেবে মানুষের মূত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, মূত্র সঞ্চয় করলে কৃষিকাজের উন্নতির জন্য ভারতকে মূল্যবান সার আমদানি করতে হবে না। অতীতে গো-মূত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীর মুখে শোনা যায়। এবার নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ‘মেয়র ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির এ প্রস্তাবে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন : ‘অভিনন্দন শাড়ি’ ও নবজাতকের নামের পর ‘অভিনন্দন গোঁফ’

নিতিন তার বক্তৃতায় উদ্ভাবনের গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন। জৈব সার কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করা যেতে পারে, এমন কয়েকটি পদ্ধতির কথাও বলেন। সেই প্রসঙ্গেই মানুষের মূত্র সঞ্চয়ের কথা বলেন তিনি। নিতিন বলেন, ‘মানুষের মূত্র সঞ্চয় করলে তা থেকে অ্যামোনিয়াম সালফেট ও নাইট্রোজেন পাওয়া সম্ভব। আমি বিমানবন্দরে মূত্র সঞ্চয়ের কথা বলেছি। আমরা ইউরিয়া আমদানি করি। কিন্তু যদি সারা দেশজুড়ে মূত্র সঞ্চয় করা যায়, তবে কিছুই আর ফেলা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, অন্য কেউ তার সঙ্গে সহমত হতে চান না। কারণ তার দেয়া প্রস্তাবগুলো অভিনব। কয়েক বছর আগে নিতিন বলেছিলেন, নিজের মূত্র সঞ্চয় করেন তিনি। দিল্লির বাংলোর বাগানে সার হিসেবে ব্যবহারও করেন। এমনকি এর ফলে তার বাগানের ফলন ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

চুলের বর্জ্য জমিয়ে অ্যামাইনো অ্যাসিড বের করার উদাহরণও দিয়েছিলেন তিনি। তিরুপতি মন্দির থেকে প্রতি মাসে পাঁচ ট্রাক চুল সংগ্রহ করে তা থেকে বর্জ্য তৈরির কথাও বলেছিলেন নিতিন। আনন্দবাজার।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।