‘বহুবিবাহ নারী-শিশুদের জন্য অবিচার’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ০৪ মার্চ ২০১৯

বহুবিবাহ করা বা বহুপত্নী রাখার বিষয়টি নারী এবং শিশুদের জন্য অবিচার হতে পারে বলে ফতোয়া দিয়েছেন মিসরের শীর্ষ ইসলামিক প্রতিষ্ঠান আল আজহারের প্রধান ইমাম শেখ আহমেদ আল-তাইয়েব।

গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমেদ আল-তাইয়েবকে মিসরে সুন্নী ইসলামের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেখানে তার সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়।

শেখ আহমেদ বলেছেন, কোরআন সঠিকভাবে না বুঝে প্রায়ই বহুবিবাহের বিষয়টি অনুশীলন করা হয়। তিনি তার সাপ্তাহিক টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে এই ফতোয়া দিয়েছেন। পরে তিনি টুইটারেও একই বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তবে তার এই ফতোয়া নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

মিসরে এই বিতর্কের মধ্যে আল আজহার নামের ইসলামিক প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রধান ইমাম বহুবিবাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। তিনি বিবাহ নিয়ে ভুল অনুশীলনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

বিতর্কের মুখেও শেখ আহমেদ আল-তায়েবও তার বক্তব্য থেকে সরে আসেননি। তিনি তার নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বলেছেন, একটি বিবাহ করাই ছিল নিয়ম এবং বহুবিবাহ হচ্ছে ব্যতিক্রম।

তিনি আরও বলেছেন, যারা স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বহুবিবাহের পক্ষে থাকেন বা সেটাকেই নিয়ম মনে করেন, তারা সকলেই ভুল।বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে মিসরের এই ইমাম কোরআন থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, একজন মুসলিম পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারেন। কিন্তু তাকে একাধিক স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য ন্যায্যতার শর্ত মেনে চলতে হবে। যদি সেই ন্যায্যতা না থাকে, তাহলে একাধিক স্ত্রী বা বহুবিবাহ নিষিদ্ধ।

তিনি মনে করেন, একাধিক স্ত্রী রেখে ন্যায্যতা রাখা সম্ভব নয়। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কারের যে আন্দোলন, তাকে সমর্থন করেন মিসরের এই ইমাম।

এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, আমাদের সমাজের অর্ধেকই নারী। ফলে তারাই সমাজের অর্ধেক প্রতিনিধিত্ব করেন। আমরা যদি তাদের যত্ন বা সম্মান না করি, তাহলে এটি কেবল এক পায়ে হেঁটে যাওয়া মতো ব্যাপার হবে। মিসরে নারীদের জাতীয় কাউন্সিলও ইমামের এই বক্তব্যের ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।