কাশ্মীরে সিল করা হলো জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৫ পিএম, ০২ মার্চ ২০১৯

মাত্র একদিন আগেই ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এবার কাশ্মীরের জেলা শাসকের নির্দেশে জামায়াতে ইসলামীর বেশ কিছু কর্মী ও দলীয় নেতার বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের জন্য বেআইনি সংগঠন হিসেবেই চিহ্নিত হবে জামাত। ইতোমধ্যেই গত চারদিনে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই শতাধিক জামায়াত কর্মীকে।

কেন্দ্রের দাবি জামায়াতের সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পুলওয়ামা হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হওয়া একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নয় কাশ্মীরের দুটি প্রধান দল-পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স।

পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতি বলেছেন, জামায়াতকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এতো অস্বস্তিতে কেন রয়েছে সেটাই বুঝতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, যখন চরমপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলো দিনের পর দিন ভুল খবর ছড়ায়, তখন কেন্দ্রের টনক নড়ে না। কিন্তু যে সংগঠন নিরলসভাবে কাশ্মীরের জন্যে কাজ করছে আজ তাদেরকেই নিষিদ্ধ করা হলো। ন্যাশনাল কনফারেন্স-এর আলি মুহাম্মদও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।