আসামে বিষাক্ত মদ পানে মৃত বেড়ে ৮৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ভারতের আসাম রাজ্যে বিষাক্ত মদ পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। বিষাক্ত ওই মদ পান করার পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শুক্রবার রাতে প্রথম খবর পাওয়ার সময় মৃতের সংখ্যা ছিল ৩২ জন। শনিবার সকালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬ জনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট ৮৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের প্রায় সবাই চা বাগানের শ্রমিক। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারীও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আসাম রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা চিন্তিত। তাছাড়া প্রতি দশ মিনিট অন্তর অন্তর কোথাও না কোথাও থেকে নতুন করে মৃত্যুর খবর আসছে আমাদের কাছে। অসুস্থদের যথাযাথ চিকিৎসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। পুলিশ বলছে, অসুস্থদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাট জেলার সালমারা চা-বাগানে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুয়াহাটির সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক দিলীপ রাজবংশী বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে তৈরি বিষাক্ত মদ পান করার কারণেই এই মৃত্যু।

আসাম রাজ্যসভার প্রতিনিধি মৃণাল শইকিয়া সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, প্রায় ১০০ জন ওই বিষাক্ত মদ পান করেছিল। সেই মদ পানের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা। তারপরই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল মদে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে অসুস্থ ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিষাক্ত মদ পান করে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার দুই সপ্তাহ না যেতেই আসামে ঘটল প্রাণঘাতী এই ঘটনা।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।