বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান করতে খসড়া চুক্তি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কয়েক মাস ধরে চলা বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে একটি খসড়া চুক্তিতে পৌঁছাতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন। দু'পক্ষের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে করা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন দু'দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার দু'পক্ষই এ বিষয়ে

একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে খসড়া প্রণয়নের কাজ শুরু করেছেন।

আগের চুক্তির সময়সীমা শেষ হলে যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি শুল্ক আরোপ করতে পারে। ওয়াশিংটনের বেধে দেয়া এই সময়সীমার আর এক সপ্তাহ পরেই শেষ হবে। তার আগেই দু'দেশের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে দু'দেশই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

দু'দেশের মধ্যস্থতাকারীরা ছয়টি সমঝোতা স্মারক নিয়ে কাজ করছেন। চীন যেন নিজেদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক নীতির গঠনমূলক সংস্কারে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেজন্যই এসব চুক্তি করা হচ্ছে।

মার্চের ১ তারিখের আগে দু'পক্ষ যদি একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় তবে ২শ বিলিয়ন ডলার চীনা পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে।

ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়, দুই অর্থনীতির শীর্ষ দেশ যেন এমন নীতিই অবলম্বণ করছে। আর তাদের এই নীতির জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিঘ্নিত হচ্ছে। সেই সাথে বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি কমে যাচ্ছে। প্রায় সাত মাস ধরে বাণিজ্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে দু'দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্য যেন চীনা বাজারে ব্যবসা করতে না পারে, সেজন্য শুল্ক ছাড়াও বেশকিছু বাধা সৃষ্টি করছে চীন। এগুলোর একটি তালিকা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বেশ কিছু সমস্যা সৃষ্টি করে মার্কিন পণ্য চীনা বাজারে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক ধরনের অন্যায় সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এর জের ধরেই চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন একে অন্যের বিভিন্ন পণ্যের ওপর কয়েক বিলিয়ন ডলার কর আরোপ করেছে। তবে সম্প্রতি দু'দেশই ৯০ দিনের জন্য নতুন করে আর কোন করারোপ না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ৯০ দিনের এই সময়সীমা আগামী ১ মার্চ শেষ হবে। তার আগেই নতুন একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে দু'দেশকেই।

টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।