ভারতের যে হ্যাকারের কারণে পাকিস্তানের নাভিশ্বাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জঙ্গি আস্তানায় ২০১৬ সালে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই ঘটনা নিয়ে ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সিনেমাটির ‘হাউজ দ্য জোশ’ সংলাপ এখন ভারতীয়দের মুখে মুখে। তেমনি ভারতীয়দের মুখে জনপ্রিয় আরেকটি নাম ‘অনশুল।’

উরি সিনেমার সেই সংলাপকে নকল করে ‘অনশুল’ ভক্তরা এখন বলছেন ‘হাউজ দ্য খউফ।’ সম্প্রতি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনাদের গাড়িবহরে জঙ্গিগোষ্ঠী জঈশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য আদিলের আত্মঘাতী হামলার নিন্দায় গোটা ভারত গর্জে উঠেছে। ঠিক এমন সময় নিজের মত করে সরব হয়েছেন অনশুল।

তবে প্রশ্ন হলো কে এই অনশুল? ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, অনশুল একজন প্রযুক্তিবিদ, যিনি ক্রমেই পাকিস্তানের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছেন। কাশ্মীরে পুলওয়ামা হামলার পর যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমালোচনা করছেন কিংবা ‘দেশবিরোধী’ কোনো মন্তব্য করেছেন তাদের কাছেও দুঃস্বপ্ন তিনি।

ভারতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ‘ম্যান অফ দ্য মোমেন্ট’ অর্থাৎ ‘সময়ের নায়ক’ হয়ে উঠেছেন অংশুল। পুলওয়ামা হামলার পরেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ‘হ্যাক’ হয়। মুহূর্তেই গোটা পাকিস্তানে এমন খবরকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রোফাইল।

পাকিস্তান দাবি করছে, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন ভারতীয় হ্যাকাররা। যে খবর অনশুল তার ফেসবুক অ্যকাউন্টে পোস্ট করেন। ফেসবুকে বেশ কয়েকটি পোস্টের মাধ্যমে অনশুল জানান, তিনিই করেছেন এসব। যদিও অনশুল দাবি করেন ৭০টি পাকিস্তানি ওয়েবসাইট হ্যাকিং এর ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।

অনশুল সাক্সেনার টুইটার অ্যাকাউন্টে দেখা যাচ্ছে, দেশের একাধিক নেতামন্ত্রীরা তাকে ফলো করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সামাজিক মাধ্যমে ক্রমেই বাড়ছে তার জনপ্রিয়তা। পুলওয়ামা হামলার পর গত তিন দিনে অনশুলের প্রোফাইলে দুই লাখেরও বেশি ফলোয়ার বেড়েছে।

এসএ/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।