চোরের উদ্দেশে হৃদয় ছোঁয়ানো বার্তা মালিকের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৭ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জাপানের বনসাই প্রেমী এক দম্পতি ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন চোরের উদ্দেশে। কারণ তাদের বাগান থেকে ৪০০ বছরের পুরনো সাতটি বনসাই গাছ চুরি হয়ে গেছে। স্ট্যাটাসে ওই দম্পতি বনসাই গাছকে তাদের সন্তান হিসেবে উল্লেখ করে সেগুলোর লালন-পালনের অনুরোধ করেছেন।

সেইজি ইমুরা এবং ফুয়ুমি দম্পতি বলেছেন, টোকিওর সাইতামা এলাকায় তাদের বাগান থেকে অত্যন্ত মূল্যবান এসব বনসাই চুরি হয়েছে। ফেসবুকে ইমুরা লিখেছেন, আমাদের এখন কেমন লাগছে সেটি বর্ণনা করার কোনো ভাষা নেই। বনসাইগুলো আমাদের কাছে মূল্যবান ছিল।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, জাপানি মুদ্রায় এসব বনসাইয়ের মূল্য প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ ইয়েন (বাংলাদেশি প্রায় ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৭ টাকা)।

জাপানে বিশেষজ্ঞ চাষ কৌশলের মাধ্যমে বনসাই গাছকে সুক্ষ্ম শিল্প কর্মের আকার দেয়া হয়। ক্ষুদে এসব গাছ পাত্রে বেড়ে উঠে; যা পূর্ণাঙ্গ গাছের আকৃতি ধারণ করে, তবে বিশেষজ্ঞদের যত্নের প্রয়োজন হয়।

ওই দম্পতির যেসব বনসাই চুরি হয়েছে তার মধ্যে শিম্পাকু জুনিপার নামের একটি রয়েছে। বনসাই প্রেমী ও উৎসাহীদের মাঝে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে এই গাছের। এর একটি গাছের মূল্য প্রায় এক কোটি ইয়েন।

গত ২৪ জানুয়ারি ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে ইমুরা বলেন, আমাদের শিম্পাকু প্রায় ৪০০ বছর ধরে বেঁচে আছে। এর যত্ন দরকার এবং পানি ছাড়া এক সপ্তাহও বাঁচতে পারবে না। এটা চিরকাল বেঁচে থাকতে পারে, এমনকি আমরা মারা যাওয়ার পরও। যে নিয়ে গেছে আমি তাকে বলতে চাই, এই গাছটিতে যেন যথাযথভাবে পানি দেয়া হয়।

মঙ্গলবার জাপানি ওই নারী বিবিসিকে বলেছেন, তাদের চুরি যাওয়া বনসাইগুলো এখনো ফেরত পাননি। আমরা দুঃখিত এবং হতাশ। তবে আমাদের বনসাই রক্ষা করে যাবো। এই সময়ে প্রত্যেকের প্রশংসা অনুযায়ী আমরা বনসাই চাষ অব্যাহত রাখবো।

বনসাই প্রেমী ও বাগানিরা ইমুরা দম্পতির প্রতি সহানুভূতি এবং সংহতি জানিয়েছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, এটা ক্ষমার অযোগ্য। এই চোররা জানেন না যে, একটা বনসাই চুরির অর্থ কী, সেখানে সাতটি চুরি করেছে। নমনীয় সব ভালোবাসা চুরি করে নিয়ে গেছে চোররা।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।